ঝিনাইদহে লিচুর ভালো ফলন হয়েছিল। কিন্তু তীব্র খরা আর অনাবৃষ্টিতে লিচুর গুটি ঝরে পড়তে শুরু করেছে। কেউ কেউ আবার পানি দিয়ে এসব গুটি টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। কিন্তু লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমতো পানি সেচও দেওয়া যাচ্ছে না। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা।
Advertisement
সদর উপজেলার হলিধানি এলাকার লিচু চাষি আব্দুর রহিম প্রধান বলেন, বাগানে প্রচুর লিচুর ফুল ও গুটি এসেছিল। কিন্তু খরায় ঝরে পড়ছে। ওষুধ দিয়েও টিকিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। ফলগুলো টিকিয়ে রাখতে ঘন ঘন বাগানে সেচ দেবো। কিন্তু নিচ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানিও উঠছে না। এভাবে গরম পড়তে থাকলে বাগানের সব গুটি ঝরে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
একই এলাকার আরেক চাষি জামিরুল ইসলাম জামির বলেন, আমরা বাগানে প্রচুর পরিমাণ গুটি এসেছে। যেভাবে খরা হচ্ছে গাছের ফল দেখা যাচ্ছে ভালো কিন্তু ডালে হাত দিলেই সব ঝরে পড়ছে। বাগানে পানি দেবো যে ঠিকমতো বিদ্যুতও থাকছে না। ফলে লিচুর সব গুটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অনেক টাকা খরচ করে লিচুর বাগান করেছি। ভেবেছি লিচুতে কিছু লাভ হবে। কিন্তু এখন খরচ উঠবে কিনা সেই চিন্তায় আছি।
ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আজগর আলী জাগো নিউজকে বলেন, তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির বেশি হলেই লিচু গাছ থেকে ঝরে যায়। এজন্য আমরা কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। গাছের গোঁড়ায় মাটি দিয়ে রিং আকৃতি করে পানি দিয়ে খড় অথবা বিচালি চাপা দিয়ে রাখতে। যাতে পানিটা ধরে রাখা যায়। এছাড়া জেলার প্রতিটি গ্রামে কৃষকদের মধ্যে লিফলেট বিতরণসহ এলাকার মসজিদে প্রচার চালানো হচ্ছে।
Advertisement
এসজে/এমএস