জাতীয়

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ফুটপাতের শতাধিক দোকানি

আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত নিউ সুপার মার্কেটের লাগোয়া ব্রিজের একপাশে বসে হা হুতাশ করছেন রাব্বি নামের এক যুবক। রাব্বি, পাশেই কলোনিতে থাকেন।

Advertisement

নিউমার্কেটে ফুটপাতে দোকান ছিল রাব্বির। নিউ সুপার মার্কেটের তিন তলায় গোডাউন ছিল তার। ফুটের দোকান বন্ধ করে রাত তিনটায় গোডাউনে সব রেখে গেছেন। আগুনের খবরে ভোর ৫টায় এসে আর কিছু উদ্ধার করতে পারেননি।

তিনি বলেন, আমাদের ১৫ থেকে ২০ জন ফুটের দোকানির ৩০ লাখের মতো মাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

রাব্বিকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন আরও ১০ থেকে ১২ জন। তাদের কেউ একটু পর পর ভেতরে ঢুকছেন, বেরিয়েও আসছেন হতাশ হয়ে।

Advertisement

তাদের মধ্যে একজনের নাম সাকিব। আগুনের ভেতর থেকে মাথায় পানি ঢালতে ঢালতে বেরিয়ে রাকিব বলেন, ‘সব শেষ। পাই নাই কিছু।’

নিজের মালের সন্ধানে তাদের আরেক সহকর্মী সানি। মালামাল খুঁজতে সানিও ভেতরে যায়। মো. মনজিল নামে আরও একজন ফিরে এসেছেন, বলেন ‘সব পুড়ে গেছে, পাইনি কিছু।’

আরও পড়ুন>নিউমার্কেটে আগুন/নাশকতা কি না তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ ফায়ারের ডিজির

ক্ষতিগ্রস্ত ফুটপাতের দোকানিরা বলছেন, ‘সবাই তো জানে মার্কেটে আগুন লাগছে। মার্কেটের দোকানিদের সহযোগিতা করবে। আমরা যারা ফুটপাতের দোকানি, মার্কেটে গোডাউন ছিল, আমাদেরও তো সব শেষ হয়ে গেছে। আমাদের তো কেউ দেখবো না। আমাদের তো কেউ ক্ষতিপূরণ দিবো না।’

Advertisement

রাব্বি, সাকিব, সানি ও মনজিলের মত শতাধিক লোক অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত নিউ সুপার মার্কেটের সামনের ব্রিজের ফুটপাতে দোকান করতেন। তারা দিনশেষে সব মাল রেখে যেতেন নিউ সুপার মার্কেটের তিন তলায় গোডাউনে। মার্কেটে আগুন লাগায় তাদেরই ক্ষতি হয়েছে বেশি। কারণ আগুনে তিনতলায় মালামাল পুড়েছে বেশি। অন্যান্য ফ্লোরে আগুন তেমন ছড়ায়নি।

আরও পড়ুন>নিউমার্কেটে আগুন/অগ্নিকাণ্ডের পর আশপাশের মার্কেট বন্ধ

শনিবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নিউমার্কেটের নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগার তথ্য জানতে পারে ফায়ার সার্ভিস। ৫টা ৪৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপর একে একে ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

গত ৪ এপ্রিল সকালে রাজধানীর সর্ববৃহৎ পাইকারি পোশাকের মার্কেট বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের মার্কেটগুলোতেও। আগুনে কয়েক হাজার দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতি হয় কোটি কোটি টাকার। পথে বসেন হাজারো ব্যবসায়ী।

এসইউজে/এসএনআর/এএসএম