ভ্রমণ

গরমে স্বস্তি পেতে ঘুরে আসুন মানালির ৫ ‘অফবিট প্লেসে’

মানালি তার প্রাকৃতিক আকর্ষণের জন্য পরিচিত। অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের কাছে মানালি সেরা এক স্থান। সেখানকার অতুলনীয় সৌন্দর্য ও দুঃসাহসিক কার্যকলাপের কারণে, ভ্রমণপ্রিয়রা সেখানে ভিড় করেন বছরের বিভিন্ন সময়ে।

Advertisement

অনেকেই হয়তো এরই মধ্যে ভারতের মানালি ঘুরতে গিয়েছেন। তবে মানালির কাছাকাছি এমন অনেক গোপন বা অফবিট প্লেস আছে, যেগুলো সম্পর্কে অনেক মানুষই এখনো জানেন না।

আরও পড়ুন: অনলাইনে ট্রেনের টিকিট কাটার সহজ নিয়ম 

স্থানগুলো বেশ শান্তিপূর্ণ ও খুব কমই ভিড় সেসব স্পটে। সামগ্রিকভাবে এখানে আপনি শান্তি ও আরাম উভয়ই পাবেন। বিশেষ করে গরমে স্বস্তি পেতে মানালির কয়েকটি স্পটে ঘুযরে আসতে পারেন।

Advertisement

সেখানকার নিরিবিলি ও গাছপালায় ঘেরা শান্ত পরিবেশ আপনাকে স্বস্তি দেবে নিমিষেই। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক মানালির কাছের লুকানো জায়গাগুলো সম্পর্কে-

আরও পড়ুন: ঈদযাত্রায় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন 

পল্লীকুহাল পরিদর্শন করুন

এই জায়গার নাম হয়তো আপনি আগে কমই শুনেছেন। মানালি থেকে সেখানে পৌঁছাতে সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা সময় লাগে। যাই হোক পল্লীকুহাল খুব সুন্দর জায়গা।

Advertisement

সেখানে গিয়ে শান্তি ও প্রশান্তি পাওয়ার পর, আপনার হয়তো আর ফিরতেও ইচ্ছে হবে না। স্থানটিকে হিমাচল প্রদেশের অফবিট জায়গাগুলোর মধ্যে একটি বলে গণ্য করা হয়।

আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে ঘুরে আসুন মিরসরাইয়ের ১০ পর্যটন স্পটে 

থোনডার দেখার জায়গা

পর্যটকদের মতে, স্থানটির নাম উদ্ভট হলেও স্বর্গের চেয়ে কম নয় নাকি সেখানকার সৌন্দর্য। হিমাচল প্রদেশ থেকে প্রায় ১৯৬ কিলোমিটার দূরে এই জায়গা আপেল চাষের জন্য বিখ্যাত।

এর পাশাপাশি সেখানে আপেলও রপ্তানি হয়। থনডারে আপেলের পাশাপাশি আপনি চেরি খামারও পাবেন।

আরও পড়ুন: ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার সময় করণীয় 

মালানায় যান

মানালি থেকে আড়াই ঘণ্টার দূরত্বে রহস্যে ভরা মালানা একটি সুন্দর গ্রাম। মানুষ খুব দ্রুত এই গ্রামের দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে। মজার ব্যাপার হলো, এই গ্রামটি ভারতের সংবিধান মানে না। গ্রামের নিজস্ব গণতন্ত্র আছে।

এখানকার কাউন্সিলকে হাকিমা বলা হয়, যেখানে উচ্চ ও নিম্ন আদালতও আছে। সেখানে আপনি পাথর ও কাঠের তৈরি অনেক সুন্দর মন্দির দেখতে পাবেন।

আরও পড়ুন: মেসির বাড়ির ওপর দিয়ে কেন উড়তে পারে না বিমান? 

আছে জলপ্রপাতও

মানালি থেকে সাজলা মোট ২৮ কিলোমিটার দূরে। পর্যটকরা এখানে আসেন বিষ্ণু মন্দির ও জলপ্রপাত দেখতে। আপনি যদি ট্রেকিং পছন্দ করেন, তাহলে আপনি এই জায়গায় পৌঁছে উপভোগ করবেন।

কারণ ট্রেকিংয়ের মাধ্যমেই সেখানে পৌঁছানো যায়। পথে আপনি ঘন বন দেখতে পাবেন যার নিজস্ব একটি ভিন্ন অভিজ্ঞতা হবে।

আরও পড়ুন: সিলেটের ‘সাদা পাথর’ ভ্রমণে কখন ও কীভাবে যাবেন?

মাটিতে ঘুরতে যান

হিমাচল থেকে ২৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এক স্থানের নাম ‘মাটি’। লম্বা গাছ ও পরিষ্কার পরিবেশের জন্য বিখ্যাত স্থানটি। সেখানকার কথা এখন পর্যন্ত অনেকেই জানেন না।

মানালি থেকে মাটি পর্যন্ত, আপনি গাড়িতে অল্প দূরত্বে যেতে পারবেন। তারপরে পায়ে হেঁটে যেতে হবে। সেখানকার সুন্দর দৃশ্য আপনার মন জয় করবে। ক্যাম্পিংয়ের জন্য এটাই সবচেয়ে ভালো জায়গা।

সূত্র: প্রেসওয়্যার ১৮

জেএমএস/জিকেএস