অর্থনীতি

ফুটপাতে ৪০০ টাকায় মিলছে পাঞ্জাবি, শার্ট-প্যান্ট ৫০০-৬০০

ঈদের বাকি মাত্র এক সপ্তাহ। রাজধানীর প্রায় সব মার্কেটে জমে উঠেছে বেচাকেনা। ব্যস্ততম এলাকা হিসেবে পরিচিত মিরপুরের মার্কেটেও বেশ ভিড়। তবে ক্রেতাদের বেশি ভিড় ফুটপাতে। মিরপুর-১০ নম্বরের গোলচত্বরের চারপাশের ফুটপাতে পুরোদমে চলছে ঈদের কেনাকাটা। দিনে প্রচণ্ড গরম থাকায় বিকেলের দিকে ক্রেতা কম থাকলেও সন্ধ্যার পর ভিড় বাড়ছে। ক্রেতা-বিক্রেতার দরদাম, হাঁকডাকে সরগরম ফুটপাত।

Advertisement

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বরের চারপাশের ফুটপাত ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এখানে মাত্র ৫০০-৬০০ টাকায় মিলছে ছেলেদের জিন্স প্যান্ট। গ্যাবাডি প্যান্ট বিক্রি হচ্ছে ৪০০-৪৫০ টাকায়। ৫০০-৬০০ টাকা পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের শার্ট-প্যান্ট। দরদামে মিলে গেলে পছন্দের পোশাক, জুতা-স্যান্ডেল কিনছেন ক্রেতারা।

সরেজমিন দেখা গেছে, মিরপুরের এ ফুটপাতে শার্ট, টি-শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, বিভিন্ন ধরনের জুতা-স্যান্ডেল, সালোয়ার-কামিজ, বোরকা, হিজাব, ওড়না, বাচ্চাদের শার্ট-প্যান্ট, ফ্রক বিক্রি হচ্ছে। এখানে চায়না স্নিকার জুতা পাওয়া যাচ্ছে ৮০০ টাকায়। জর্ডান ব্র্যান্ডের জুতা বিক্রি হচ্ছে আড়াই হাজার টাকা। ছেলেদের স্লিপার মিলছে ৩৫০-৬০০ টাকায়।

আরও পড়ুন>> দরদাম করে কিনতে পারলে জিততে পারেন আপনিও

Advertisement

এদিকে, চায়না ব্র্যান্ডের বলে বিক্রি করা শার্টের দাম চাওয়া হচ্ছে ৪০০ টাকা। ভারতীয় শার্ট এবং থ্রি-ডি ডিজিটাল প্রিন্ট শার্ট পাওয়া যাচ্ছে ৬০০ টাকায়। বিভিন্ন ধরনের টি-শার্ট মিলছে ১০০-৪০০ টাকায়। হাফ হাতা কলারযুক্ত টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকায়। মানভেদে পাঞ্জাবি মিলছে ৪০০-৬০০ টাকা দরে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ ফুটপাতে মেয়েদের টপ বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৪০০ টাকা, কামিজ ৫০০-৭০০ টাকা। হিজাব, ওড়না মানভেদে ১৫০-৩০০ টাকা, বোরকা ৭০০-১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন ধরনের শাড়িও পাওয়া যাচ্ছে এখানে। দাম শুরু ৫০০ টাকা থেকে।

বাচ্চাদের পাঞ্জাবি ও পায়জামা ৩০০-৫০০ টাকা, বাচ্চাদের জিন্স প্যান্ট বয়সভেদে ১৫০-৪০০ টাকা, বাচ্চাদের ফ্রক ৩৫০-৮০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া লুঙ্গি ৩০০-৭০০ টাকা, পোলো টি-শার্ট বিক্রি হচ্ছে ২০০- ৪০০ টাকায়।

আরও পড়ুন>> মানুষ খাবে নাকি নতুন কাপড় কিনবে, প্রশ্ন ব্যবসায়ীর

Advertisement

জুতা বিক্রেতা রাব্বি হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘গত সোমবার থেকে বেচাকেনাটা ভালো মতো শুরু হয়েছে। এখন ভালোই চলছে। আশা করি, সামনে বেচাকেনা আরও বাড়বে।’

শার্ট বিক্রেতা রাজন আহমেদ বলেন, ‘দৈনিক ৬০ থেকে ৭০ পিস শার্ট বিক্রি হচ্ছে। গত ৪-৫ দিন ধরে ভালো বেচাকেনা হচ্ছে। এখানে মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সবাই পোশাক, জুতা কিনতে আসছেন।’

আরও পড়ুন>> ঈদের ছোঁয়া লাগেনি গুলশানের পিংক সিটিতে

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আমিনুল ইসলাম। তিনি ছেলে–মেয়ে ও স্ত্রীর জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন। নিত্যপণ্যের দাম অনুসারে ফুটপাতের পণ্যের দাম সহনশীল আছে বলে জানান তিনি। আমিনুল বলেন, ‘ফুটপাতে দেখেশুনে কিনলে অনেক ভালোমানের পণ্য কেনা যায়। আমরা যারা একটা নির্দিষ্ট আয়ে চলি, তাদের জন্য ফুটপাতই সেরা।’

এমওএস/এএএইচ/এএসএম