খেলাধুলা

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ ওভারে পাঞ্জাবকে হারালো গুজরাট

এবারের আইপিএলে প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই হচ্ছে তুমুল লড়াই, তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতা। পাঞ্জাব কিংস এবং গুজরাট টাইটান্সের ম্যাচেও হলো তেমন লড়াই। একেবারে শেষ ওভারে এসে ১ বল হাতে রেখে হলো ম্যাচের সমাপ্তি। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ উইকেটে হারালো গুজরাট টাইটান্স।

Advertisement

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব কিংস। জবাব দিতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় গুজরাট টাইটান্স। সে সঙ্গে পয়েন্ট টেবিলেও তিন নম্বরে উঠে এসেছে আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। তাদের পয়েন্ট ৬। রাজস্থান এবং লখনৌ সুপার জায়ান্টসের পয়েন্টও ৬ করে। রানরেটে পিছিয়ে গুজরাট।

জয়ের জন্য শেষ ওভারে ৭ রান প্রয়োজন ছিল গুজরাটের। উইকেটে দুই প্রতিষ্ঠিত এবং সেট হওয়া ব্যাটার ডেভিড মিলার ও শুভমান গিল। অনায়াসেই জয় চলে আসার কথা। কিন্তু পাঞ্জাব কিংস অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান বল তুলে দেন ইংলিশ বোলার স্যাম কারানের হাতে।

প্রথম বলে ১ রান দিলেও দ্বিতীয় বলে ৬৭ রান করা শুভমান গিলকে বোল্ড আউট করে ম্যাচ জমিয়ে দেন। ৪৯ বলে ৭ বাউন্ডারি এবং ১ ছক্কায় ৬৭ রান করেন তিনি। এরপর ডেভিড মিলার এবং রাহুল তেওয়াতিয়াকে সিঙ্গেলের বেশি রান নিতে দিচ্ছিলেন না কারান। শেষ ২ বলে প্রয়োজন ৪ রান। এ পরিস্থিতিতে ৫ম বলেই বাউন্ডারি মেরে দেন রাহুল তেওয়াতিয়া। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচটির সমাপ্তি ঘটলো ১ বল আগেই।

Advertisement

মোহালির ধর্মশালা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাঞ্জাবকেই ব্যাট করতে পাঠায় গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই বিপদে স্বাগতিকরা। কোনো রান করার আগেই আউট হয়ে যান প্রাবশিমরান সিং। ৮ রান করে বিদায় নেন শিখর ধাওয়ান। বড় কোনো ইনিংস কেউ খেলতে পারেননি।

২৪ বলে ৩৬ রান করেন ম্যাথিউ শর্ট। ২৬ বলে ২০ রান করেন ভানুকা রাপাকসে। ২৩ বলে ২৫ রান করেন জিতেশ শর্মা। স্যাম কারান খেলেন ২২ বলে ২২ রানের ইনিংস। শাহরুখ খান খেলেন ৯ বলে ২২ রানের ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রান সংগ্রহ করে পাঞ্জাব। পুরো ম্যাচে ৫৬টি ডট বল খেলেছে পাঞ্জাবের ব্যাটাররা।

মোহিত শর্মা ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। কৃপণ বোলিং করে তিনিই জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি, জশ লিটল, অ্যালজারি জোসেপ এবং রশিদ খান।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল গুজরাটের। ঋদ্ধিমান সাহা এবং শুভমান গিল মিলে গড়ে তোলেন ৪৮ রানের জুটি। ১৯ বলে ৩০ রান করে আউট হন ঋদ্ধিমান। শুভমান গিল তো শেষ ওভারে গিয়ে আউট হন ৬৭ রান করে। তার আগে সাই সুদর্শন ২০ বলে ১৯ রান করে, হার্দিক পান্ডিয়া ১১ বলে ৮ রান করে আউট হন। ১৮ বলে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড মিলার। ২ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রাহুল তেওয়াতিয়া।

Advertisement

আইএইচএস/জিকেএস