পহেলা বৈশাখ বাঙালির সর্বজনীন লোকউৎসব। বাঙালির দীর্ঘদিনের সংস্কৃতি পহেলা বৈশাখ। প্রতি বছর নববর্ষের এ দিনটিকে দেশজুড়ে নানা আয়োজনে উদযাপন করা হয়। রাজধানীর রমনার বটমূলে জাতীয়ভাবে উদযাপন করা হয় বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনটিকে। এদিন সকাল থেকেই সব বয়সী ও সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সমাগম ঘটে রমনার বটমূলে।
Advertisement
অনেকের সঙ্গে আজ নববর্ষ উদযাপনে রমনার বটমূলে সেগুনবাগিচা থেকে এসেছেন সম্পা সরকার। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন সাড়ে চার বছরের মেয়ে জাহ্নবী সরকারকে। মেয়েকে বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করাতেই বৈশাখী উৎসবে নিয়ে এসেছেন বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর রমনা বটমূলে কথা হয় মা-মেয়ে দুজনের সঙ্গে।
ছায়ানটের শিল্পীদের নানা আয়োজন সামনে বসেই উপভোগ করেন তারা। মেয়ে জাহ্নবী সরকার নেচে গেয়ে আনন্দেই উদযাপন করেন বৈশাখী উৎসব। মেয়ের সঙ্গে এমন একটি দিন কাটাতে পেরে খুশি মা সম্পা সরকার।
Advertisement
আরও পড়ুন>> নব আলোর সন্ধানে নতুন বছর বরণ করছে ছায়ানট
সম্পা সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘বাঙালি সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করাতে খুব ছোট থেকেই মেয়েকে রমনার বটমূলের বৈশাখী উৎসবে নিয়ে আসি। এখানে এসে সে খুব খুশি হয়। ছায়ানটের শিল্পীদের বর্ষবরণের আয়োজন উদযাপন করে।’
তিনি বলেন, ‘মেয়ে এসেই গানের তালে নাচতে থাকে। ভালোই লাগে মেয়ের এমন আনন্দ দেখে। মেয়েও এখন প্রতিবার আসতে চায় এখানে।’
রাজধানীর একটি স্কুলে পড়ে জাহ্নবী সরকার। বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানে এসে নেচে গেয়ে সময় কাটছে তার। কেমন লাগছে আয়োজন- জানতে চাইলে জাহ্নবী সরকার জাগো নিউজকে বলে, ‘অনুষ্ঠানে এসে খুব ভালো লাগছে। অনেক মানুষ এসেছে। মায়ের সঙ্গে আমিও ঘুরতে এসেছি।’
Advertisement
এর আগে এদিন সকাল সোয়া ৬টায় রাগ যন্ত্রবাদনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। এদিন সকাল থেকে রমনার বটমূলে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের আসা শুরু হয়। এবার ১০টি সম্মিলিত গান, ১১টি একক গান, দুটি আবৃত্তি এবং সবশেষে জাতীয় সঙ্গীতে অনুষ্ঠানমালা সাজানো হয়। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল, বাংলাদেশ বেতার ও ইউটিউব চ্যানেলগুলো।
সকালে এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই যাত্রা শুরু হয় নতুন আরেকটি বাংলা বছরের। সংকীর্ণতা, কূপমণ্ডুকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবন-ব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি নতুন উদ্যমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয় পয়লা বৈশাখ।
আরএসএম/ইএ/জিকেএস