জাতীয়

অব্যবহৃত-আংশিক ব্যবহৃত দাখিলা বই প্রত্যাহারের নির্দেশ

পহেলা বৈশাখ (১৪ এপ্রিল) থেকে ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা সফলভাবে কার্যকর করার জন্য মাঠ পর্যায়ের ভূমি কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) একটি পরিপত্র জারি করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।

Advertisement

নির্বিঘ্নে ভূমি উন্নয়ন কর দেওয়ার জন্য ৭ কার্যদিনের মধ্যে যেন ভূমি মালিক হোল্ডিং রিপোর্ট পান তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে পরিপত্রে।

অসাধু ব্যক্তিরা যেন প্রতারণামূলক কাজে লিপ্ত হতে না পারে সেজন্য পহেলা বৈশাখের পর ৭ কার্যদিনের মধ্যে ভূমি অফিসে সংরক্ষিত অব্যবহৃত ও আংশিক ব্যবহৃত সব দাখিলা বই প্রত্যাহার করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পরিপত্রে।

ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমানের সই করা পরিপত্রে মাঠ পর্যায়ের ভূমি কর্মকর্তাদের জন্য আরও যেসব বিষয়ে বিস্তারিত দিকনির্দেশনা আছে তা হচ্ছে-নাবালক ও প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে করণীয়, খতিয়ানের রেকর্ডিয় মালিকের নাম জাতীয় পরিচয় পত্রের নামের সঙ্গে মিল না থাকলে করণীয়, মহিলাদের ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতার নাম ও রেকর্ডে স্বামীর নাম থাকলে করণীয়, মালিকের নামে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, ব্যক্তির ক্ষেত্রে আংশিক ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, জমির ব্যবহার ভিত্তিক ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, অগ্রিম ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, সংস্থার ক্ষেত্রে আংশিক ভূমি উন্নয়ন কর আদায়, মওকুফ দাখিলা বিষয় ইত্যাদি।

Advertisement

ভূমি উন্নয়ন কর আদায় কার্যক্রম অধিকতর জনবান্ধব করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৯ মার্চ ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় ভূমি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পহেলা বৈশাখ থেকে ক্যাশলেস ভূমি উন্নয়ন কর ব্যবস্থা কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ এপ্রিল এক গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ভূমি মন্ত্রণালয়। পহেলা বৈশাখ থেকে শতভাগ ভূমি উন্নয়ন কর অনলাইনে দিতে হবে। নগদ টাকায় কোনো কর গ্রহণ করা হবে না।

আরএমএম/এমআইএইচএস/জেআইএম