খেলাধুলা

মাশরাফি চেয়েছিলেন ২৫টি পেয়েছেন পাঁচটি টিকিট

একটা টিকিট চাই। মিরপুরে চলছে এই হাহাকার। টাকা যতই লাগুক, টিকিটের হাহাকার কমছেই না। হন্যে হয়ে ঘুরছে মানুষ, সাধারণ ক্রিকেটপ্রেমী; কিন্তু সোনার হরিণ টিকিটের দেখা নেই। সাধারণ দর্শক কেন, যাদের খেলা দেখার জন্য এমন তীর্থের কাকের মত অপেক্ষা দর্শকদের, সেই ক্রিকেটাররাই বিসিবির কাছে চাইলেন, ফাইনালের টিকিট!শনিবার সকাল থেকে টিকিটের জন্য মিরপুর পরিণত হয়েছিল রণক্ষেত্রে। একটি টিকিটের জন্য হাজার হাজার ক্রিকেটপ্রেমী জড়িয়েছেন সংঘর্ষ, হাতাহাতি থেকে শুর করে নানা অপ্রীতিকর ঘটনায়। তবু, এরপরও মিলেনি টিকিট। টিকিট চাই, টিকিট নাই! ফাইনালের আগে এমনই টিকিটের জন্য হাহাকার।ক্রিকেটের সঙ্গে সামান্যতম সম্পর্ক রয়েছে সবারই এমন দশা। স্বাভাবিকভাবেই এ প্রত্যাশা থেকে বাদ পড়েননি ক্রিকেটাররাও। এমনকী, দলের অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তাজাও! ২৫টি টিকিট চেয়েছিলেন তিনি বিসিবির কাছে; কিন্তু শেষ পর্যন্ত পর্যন্ত স্বয়ং মাশরাফিই পেয়েছেন মাত্র পাঁচটি টিকিট। বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মাশরাফির এমন বেহাল দশা দেখে, সাধারণ দর্শকদের আক্ষেপ কিছুটা কমতে পারে! মাশরাফি নিজেই জানিয়েছেন, ফাইনাল ম্যাচের মাত্র পাঁচটি টিকিট পেয়েছেন।টিকিট নিয়ে দর্শকদের এমন কষ্ট দেখে ম্যাচের আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেছিলেন, ‘সকালেই দেখেছি, অনেক মানুষ টিকিটের জন্য লাইন দিয়ে আছেন। একটি টিকিটের জন্য অনেক কষ্ট করেছেন, অনেকেই নাকি বেশ সমস্যায়ও পড়েছেন। আমরা ভাল খেললে প্রায়ই এটা হয়ে আসছে। এখন আরও বেশি হচ্ছে।’মাশরাফির মত টিকিট চেয়েছেন তরুণ ক্রিকেটার নুরুল হাসান সোহানও। তার চাওয়া ছিল ১০টি টিকিট। কিন্তু পেয়েছেন চারটি। একই অবস্থা বাকি ক্রিকেটারদেরও। জানা গেছে বিসিবির কাছে সব ক্রিকেটারের চাহিদা ছিল সর্বমোট ১৪০০ টিকিট। শেষ পর্যন্ত তারা সব মিলিয়ে কত টিকিট পেয়েছেন, সেটা সঠিক জানা যায়নি। তবে, তা যে অর্ধেকেরও কম, তা মাশরাফি-সোহানের অবস্থা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।আইএইচএস/এবিএস

Advertisement