খেলাধুলা

ন্যাপোলিকে হারিয়ে এগিয়ে থাকলো এসি মিলান

১৬ বছর পর সেমিফাইনালের দ্বারপ্রান্তে ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলান। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে ন্যাপোলিকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে গেলো মিলানের দলটি।

Advertisement

ইতালিয়ান সিরি ‘এ’ পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই রয়েছে ন্যাপোলি। তবে, ইউরোপিয়ান কোনো প্রতিযোগিতায় এই প্রথম তারা সাতবারের চ্যাম্পিয়ন (চ্যাম্পিয়ন্স লিগে) এসি মিলানের মুখোমুখি হলো। সবচেয়ে প্রেস্টিজিয়াস এই লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্যের মুখোমুখি ন্যাপোলি।

দলটির সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য স্ট্রাইকার ভিক্টর ওসিমহেন খেলতে পারেননি ইনজুরির কারণে। তিনি খেলতে পারলে হয়তো ম্যাচের চিত্রটা ভিন্নও হতে পারতো।

সান সিরোতে তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল বুধবার রাতে। এই ম্যাচেরই ৪০তম মিনিটে ইসমায়েল বেনাকারের গোলে এগিয়ে যায় এসি মিলান। ৭৪ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় ন্যাপোলি। আন্দ্রে ফ্রাঙ্ক জাম্বো অ্যাঙ্গুইসা লাল কার্ড দেখে মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হন। শেষ পর্যন্ত ওই ১ গোলই হয়ে গেলো জয়-পরাজয়ের নির্ধারক এবং ১-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে এসি মিলান।

Advertisement

এসি মিলান ম্যানেজার স্টেফানো পিওলি স্কাই স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি আজ খুবই খুশি। এই সন্ধ্যাটা আমি সমর্থকদের সঙ্গেই উপভোগ করতে চাই।’

২০০৪-০৫ মৌসুমের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এসি মিলান টানা ৫টি ম্যাচের কোনোটিতেই গোল হজম করেনি। জয়ের সঙ্গে গোল হজম না করাটাও বড় একটি আনন্দের উৎস মিলান কোচ এবং সমর্থকদের জন্য।

পিওলি আরও বলেন, ‘শুরুতেই আমরা ডিফেন্সে নিজেদেরকে সঠিকভাবে সেটআপ করতে পারিনি। যে কারণে ন্যাপোলি বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলো। যে কারণে আমাদেরকে মূল্য দিতে হতো হয়তো। তবে, ন্যাপোলির বিপক্ষে তিন বছরে এই প্রথম ঘরের মাঠে জয় পেলাম।’

মাত্র কিছুদিন আগেই ঘরের মাঠে এসি মিলানের কাছে ৪-০ গোলে পরাজিত হয়েছিলো ন্যাপোলি। সেই পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে বুধবার রাতে শুরু থেকেই বেশ আক্রমণাত্মক ছিলো তারা। শুরু থেকেই বেশ কয়েকটি আক্রমণ পরিচালনা করে তারা। কিন্তু মিলানের ডিফেন্স সে সব আক্রমণ ফিরিয়ে দেন। গোল করতে ব্যর্থ করে দেয় নেপলসের দলটিকে।

Advertisement

১৮ এপ্রিল ফিরতি লেগে ন্যাপোলির মাঠে গিয়ে খেলবে এসি মিলান। ওই ম্যাচে ২ গোলের ব্যবধানে জিততে পারলে সেমিতে উঠবে ন্যাপোলি।

আইএইচএস/