মা হাসিনা বেগম ছিলেন মৌলভী সাহেবের মেয়ে। মামা-খালারা ছিলেন পাঁচজন। চার বোন আর এক ভাই ছিল তাঁর। মা হাসিনা বেগম স্কুলে যাননি কখনও কিন্তু তাঁর একমাত্র ভাই মেট্রিকে বোর্ডে স্ট্যান্ড করে পড়ে জজ হয়েছিলেন। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মামা বলতেন, ‘আমার বোনটা যদি স্কুলে যেতে পারত তবে আমাকেও হার মানাত।’ নানা ছিলেন মৌলভী সাহেব তাই তিনি তাঁর মেয়েকে স্কুলে পাঠাননি কিন্তু বছরের শেষ দিকে স্কুল পরিদর্শনে যখন ইন্সপেক্টর আসতেন তখন স্কুল কর্তৃপক্ষ মা হাসিনা বেগমকে ধার নিতেন।
Advertisement
মা ইন্সপেক্টরের সব প্রশ্নের উত্তর দিতেন। মা ছিলেন খুব বুদ্ধিমতী, অনন্যা এবং অসম্ভব অন্যরকম। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর কথায়, ‘আমার জীবনে যা কিছু হয়েছে তা আমার মার জন্যে। মা সিদ্ধান্ত নিতেন, তাঁর ছেলেমেয়েরা কে কী হবে! মা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাঁর বড় ছেলে জাফরুল্লাহ খুব দরদি; তাই এ ছেলে ডাক্তার হবে, মানুষের সেবা করবে। আমি এখন পর্যন্ত যা বলছি তা আমার মায়ের শেখানো কথাই বলছি। মা খুব অতিথিপরায়ণ ছিলেন আর খুব দরদি মনের মানুষ। মন্বন্তরে ভাতের ফেন নিতে আসা সবাই নিজের সাধ্য অনুযায়ী চাল, ভাত, ফেন দিতেন আর সন্তানদের সব সময় দুঃখী মানুষের কষ্টের কথা বলতেন।’
মায়ের খুব অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায় এবং বিয়ের ৯ বছর পর সন্তান হয়। আমার জন্ম না হলে হয়তো দাদা আবারো বিয়ে দিতেন তাঁর ছেলেকে। বাবা হুমায়ুন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পেশায় পুলিশ কমর্কর্তা । তিনি পরবর্তীতে লালবাগ থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন আদর্শবান। ঐশ্বর্যবান জীবনযাপন না করে সন্তানদের আদর্শবান ও সুশিক্ষায় শিক্ষিত করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সাথে লেখক মার্জিয়া লিপি
Advertisement
মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশে ফিরে আসা আর দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিলেতে ফিরে না যাওয়ায় মা কখনও আফসোস করেননি বরং সাভারে গণস্বাস্থ্য হাসপাতাল করাতে মা খুব উৎসাহ দিয়েছেন। মা হাসিনা বেগমের পাঁচ ছেলে, পাঁচ মেয়ে—দশ ছেলেমেয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড় সন্তান। মা হাসিনা বেগমের ১০ সন্তানের মধ্যে শহীদুল্লাহ চৌধুরী ও ইকরামুল্লাহ চৌধুরী মা-বাবার অনুমতি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। শহীদুল্লাহ চৌধুরী পরবর্তী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে সেনাবাহিনী থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
ইকরামুল্লাহ চৌধুরী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পড়াশোনা করে বর্তমানে কানাডায় প্রবাস জীবনযাপন করছেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তাঁর একসন্তান পাকিস্তানের সিএসপি একাডেমিতে ও আরেক সন্তান সেনা একাডেমিতে অন্তরীণ ছিলেন। শহীদুল্লাহ চৌধুরী পাকিস্তান থেকে পালিয়ে এসে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে কাজ করেন, যিনি পরে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পালন করেন। মা হাসিনা বেগমও ছিলেন একরকম যোদ্ধা। তাঁর দেশপ্রেম, দায়িত্ববোধ ও মানুষের প্রতি দরদ সন্তানদের জীবনকে প্রভাবিত করেছিল বিশেষভাবে। মা নিজের জীবনে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নিতে পারেননি, তাই তিনি তাঁর সব ছেলেমেয়েকে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী ২৭ ডিসেম্বর ১৯৪১ সালে জন্মগ্রহণ করেন চট্টগ্রামের রাউজান থানার সুলতানপুরের কোয়াপাড়ায়। কলকাতায় শৈশবের কিছু সময় কাটে, পরে তাঁর পরিবার ঢাকায় বসবাস শুরু করে। বকশীবাজারে নবকুমার স্কুলের পাঠ শেষ করে তিনি ঢাকা কলেজে ইন্টারমিডিয়েটে পড়েন এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় বামপন্থী রাজনৈতিক আদর্শের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি হাসপাতালের দুর্নীতি উন্মোচন করার জন্য একটি সংবাদ সম্মেলন করেন।
রাজনীতিতে সক্রিয় অবস্থায় তিনি ১৯৬৪ সালে এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করেন এবং যুক্তরাজ্যে সাধারণ ও ভাস্কুলার সার্জারিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের জন্য চলে যান। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হলে তিনি যুক্তরাজ্য থেকে ফিরে আসেন। ডা. মোবিনকে নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দামেস্ক হয়ে নয়াদিল্লিতে আসেন। সেখান থেকে কলকাতায় মুক্তিযুদ্ধকালীন হেডকোয়ার্টার বাংলাদেশ হাইকমিশনে দেখা করেন হাইকমিশনার মো. হোসেন আলীর সঙ্গে। পরদিন দেখা হয় মুজিবনগর সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ এবং মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্নেল এমএজি ওসমানীর সঙ্গে।
Advertisement
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সে সময়ের কথা বলছিলেন, তাজউদ্দীন আহমদকে জানালাম, কী করে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে লন্ডনে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন গঠন করে প্রত্যেক বাঙালি চিকিৎসকের থেকে মাসে ১০ পাউন্ড করে চাঁদা বাংলাদেশ ফান্ডে জমা করেছি। তা দিয়ে আমরা ওষুধপত্র, শরণার্থী বাংলাদেশিদের জন্য কাপড় এবং কিছু যন্ত্রপাতি এনেছি। যন্ত্রপাতির সঙ্গে রাতে ব্যবহারযোগ্য বেশকিছু দূরপাল্লার বাইনোকুলার, নদীপথে ব্যবহারের জন্য ডুবো পোশাক এবং দু’জন বহনযোগ্য কয়েকটি মিডগেট নামক ডুবো তরী। সেগুলো ভারতীয় কাস্টম থেকে খালাস করার ব্যবস্থা করতে অনুরোধ করলাম।
প্রথমদিনের আলাপ শেষে তাজউদ্দীন সাহেব বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ হচ্ছে, যান ঘুরে ঘুরে দেখুন। এক ফ্রন্টে যোগ দিন।’ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে আমাদের কর্মকর্তাদের আগমন সংবাদ প্রকাশের নির্দেশ দিলেন। দেখে অনুপ্রাণিত হলাম। কয়েক দিনের মধ্যে যুদ্ধরত সৈনিকদের সাক্ষাৎ পেলাম। পশ্চিম বাংলার পূর্ব সীমান্তে যুদ্ধ করছেন মেজর হাফিজ ও তাঁর সঙ্গীরা, মেজর ওসমানসহ অন্যরা। রাশেদ খান মেনন ও কাজী জাফরের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো কমিউনিস্ট পার্টির অফিসে।
মেননের বড় ভাই সাদেক খান জানালেন, ‘গেরিলা যুদ্ধ বুঝতে হলে আমাদের যেতে হবে আগরতলায়।’ জুনের প্রথম সপ্তাহে ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্স ও স্থানীয় ‘চাঁদের গাড়ি’ জিপে সঙ্গী ডা. এম এ মোবিনসহ পৌঁছালাম মেলাঘরের দু’ নম্বর সেক্টরের হেডকোয়ার্টারে। দেখা হয় সেখানে মেজর খালেদ মোশাররফ, ক্যাপ্টেন হায়দার, মেজর শফিউল্লাহ এবং জিয়াউর রহমানের সঙ্গে।
তিনি মুক্তিযোদ্ধা ও শরণার্থীদের জন্য ৪৮০ শয্যার বাংলাদেশ ফিল্ড হসপিটাল স্থাপনে জড়িত ছিলেন। তাজউদ্দীন আহমদের পরামর্শে হাসপাতালটি বাংলাদেশি ডাক্তার, মেডিকেল ছাত্র এবং স্বেচ্ছাসেবকদের একটি দল দ্বারা চালানো হয়েছিল। রোগীদের সাহায্য করার জন্য স্বাস্থ্যসেবায় নয় এমন নারীরা কয়েক দিনের মধ্যে প্রশিক্ষিত হয়েছিলেন। যুদ্ধক্ষেত্রের হাসপাতালের এই অভিজ্ঞতা তাঁকে বিশ্বাসী করে তোলে যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নারীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সমাজভিত্তিক একটি কার্যকর স্বাস্থ্যসেবা প্রদান ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব।
১৯৭১ সালে জুলাই মাসের ৩ তারিখ ডা. জাফরুল্লাহ, খালেদ মোশাররফের দুটি অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন। এক. ক্রেক প্লাটুন কতটা কার্যকর, দ্বিতীয়. তেল বহনকারী ট্যাংকারের সাপ্তাহিক গতিবিধির সংবাদ জানা। সংবাদ সংগ্রহ করে তিন দিন পর পুনরায় তিনি ফিরে যান মেলাঘর। ঢাকায় আসার পর কথা ছিল একজন এসকর্ট এসে সঙ্গী বকুল আর তাঁকে কোনো গোপন স্থানে রাতে রাখবে। কিন্তু গুলিস্তানে নামার পর নির্দিষ্ট লোকটিকে দেখতে না পেয়ে গুলিস্তান থেকে বকশীবাজার আসেন। সেখানে আলিয়া মাদরাসার পাশে ছিল আলবদর-আলশামসের হেডকোয়ার্টার।
বকশীবাজার মাঠের উল্টা পাশে নবকুমার ইনস্টিটিউশন এবং সেন্ট্রাল জেল। জেলখানার পেছনেই ৮ নম্বর উমেশ দত্ত রোডের ছোট্ট বাড়িটি ছিল ডা. জাফরুল্লাহর বাড়ি। সামনে রাস্তায় পুলিশ দেখে রিকশা থেকে দ্রুত লাফ দিয়ে গেট পার হয়ে বাড়ির দরজায় কড়া নাড়ছিলেন, তখন সঙ্গে সঙ্গে ঘরের বাতিগুলো নিভিয়ে দেওয়া হলো। তিনি দরজা খোলার জন্য মাকে ডাকলেন। মা বললেন, ‘কচি (ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর পারিবারিক নাম) এসেছে, দরজা খুলে দে।’ পরিবারের অন্য সদস্যরা বললো, ‘বড় ভাই তো বিলেতে।’ মা বললেন, ‘দরজা খুলে দাও। নাহলে আমি যাচ্ছি।’
পরে তার এক বোন দরজা খুলে দেয়। দরজা খুলে ডা. জাফরুল্লাহকে দেখতে পেয়ে আশ্চর্য হয়ে বোনরা জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলো। উচ্ছ্বাস কমে আসার পর মা হাসিনা বেগম বললেন, ‘যুদ্ধকালে যাঁরা মারা যাবে তাঁরা শহীদের মর্যাদা পাবে। যাঁরা বেঁচে থাকবে, তাঁরা যুদ্ধ জিতে এসে আমাদের মুক্ত করবে কিন্তু আমরা যারা দেশের ভেতরে আছি, প্রায় বন্দি জীবনযাপন করছি, তাদের কী হবে? আমি তো জানি না আমার পাঁচটি মেয়ে নিয়ে আজকের রাতটা নিরাপদে কাটাতে পারব কি না?’
তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ডা. জাফরুল্লাহ্ চৌধুরীর বন্ধু জাকারিয়ার পরিবারের ছিল স্পেশালাইজড শিপিং কোম্পানি এবং দুটো তেলবাহী জাহাজ—সপ্তডিঙ্গা ও ময়ূরপঙ্খী, যা ক্রুড অয়েল পরিবহন করতো। বন্ধু জাকের জাহাজের গতিবিধি সম্পর্কে কোনো চিন্তা-ভাবনা না করে নির্বিবাদে বললো, “তোমাদের তেলভর্তি জাহাজে আক্রমণ করতে হবে চাঁদপুর থেকে খুলনা যাওয়ার পথে। তেলভর্তি জাহাজ সারাক্ষণ আগুন জ্বলতে থাকবে। এক মাস ধরে জাহাজ জ্বলতে থাকলে সেটা সারা বিশ্বে মুক্তিযুদ্ধের বিরাট সফলতা হিসেবে বিবেচিত হবে। খুলনায় নোঙর করা অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা ডুবুরিরা সপ্তডিঙ্গা জাহাজ ডুবিয়ে দিয়েছিল। পাকিস্তানি বীমা কোম্পানি ক্ষতিপূরণ দেয়নি। বন্ধু জাকেরের মতো লাখ লাখ মানুষের অবদান রয়েছে আমাদের স্বাধীনতায়।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন বাংলাদেশি জনস্বাস্থ্যকর্মী। তিনি গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যাঙ্গালোরের পিপলস হেলথ সেন্টার নামে একটি গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবা সংগঠনের পরামর্শক। ডা. চৌধুরী ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ জাতীয় ঔষধনীতি প্রণয়নের জন্য সুপরিচিত। এর আগে বাজারে ৪,০০০ বাণিজ্যিক ওষুধ/ ড্রাগস পাওয়া যেত, মাল্টিন্যাশনাল-জাতীয় সংস্থা বা বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় প্রায় সবই। বেশিরভাগ ওষুধ জনগণের অধিকাংশের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে ছিল। এই ওষুধের কিছু ছিল অপ্রয়োজনীয় এমনকি বিপজ্জনক। তবে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় ১৫০ রকম ওষুধের কম সরবরাহ ছিল।
জাতীয় ঔষধনীতি উন্নয়নশীল দেশগুলো বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার নির্দেশিকা অনসুরণ করে, নীতিমালা ২২৫ নম্বরের ড্রাগ এবং উৎপাদন সংখ্যাকে সীমিত করে দেয়। এটি জেনেরিক ওষুধ উৎপাদনে জোর দেয় এবং তাদের স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করে। ফলাফল ব্যাপকভাবে কম দামে ওষুধের ব্যাপক প্রাপ্যতা হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশ একটি ওষুধ রফতানিকারক দেশে পরিণত হয়েছে।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশের মানুষের জন্য সমাজভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার প্রবর্তন করেছেন। নারীদের চিকিৎসাসেবা ও চিকিৎসা পেশায় উল্লেখযোগ্যভাবে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজীবন চেষ্টা করে গেছেন সংগঠক, মুক্তিযোদ্ধা ও চিকিৎসক ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তাঁর বিদেহি আত্মার শান্তি কামনা করছি।
সাক্ষাৎকার গ্রহণের তারিখ : ১৯ জানুয়ারি এবং ১০ আগস্ট ২০১৬ সাক্ষাৎকার গ্রহণের স্থান : বাসস্থান, ৯ এ ধানমন্ডি, ঢাকা।
তথ্যসূত্র:‘একাত্তর মুক্তিযোদ্ধার মা’, মার্জিয়া লিপি, অবসর প্রকাশনা সংস্থা, ৪৬/১ হেমেন্দ্র দাস রোড, সূত্রাপুর, ঢাকা-১১০০।
এইচআর/এএসএম