মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে দুই ইনিংসে চোখ ধাঁধানো ব্যাটিং করে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন মুশফিকুর রহিম। বোলিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্স দেখান তাইজুল ইসলাম, এবাদত হোসেনরা।
Advertisement
যার ফলশ্রুতিতে আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে বেশ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের। মুশফিক, তাইজুল আর এবাদত-তিনজনই উঠে এসেছেন ক্যারিয়ারসেরা র্যাঙ্কিংয়ে। আজ (বুধবার) আইসিসির হালনাগাদ র্যাঙ্কিংয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আইরিশদের বিপক্ষে টেস্টে মুশফিক প্রথম ইনিংসে ১২৬ আর দ্বিতীয় ইনিংসে খেলেন অপরাজিত ৫১ রানের ইনিংস। এতে করে ৬৭৪ রেটিং নিয়ে ব্যাটারদের র্যাঙ্কিংয়ে পাঁচ ধাপ এগিয়ে ১৭ নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি।
এটিই মুশফিকের ক্যারিয়ারসেরা র্যাঙ্কিং। এর আগেও অবশ্য একবার ১৭ নম্বরে উঠেছিলেন মুশফিক। সেটি গত বছরের মে মাসে শ্রীলঙ্কা সিরিজের পর। তখন তার রেটিং ছিল ৬৭৫।
Advertisement
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬৮৪ রেটিং নিয়ে ১৫ নম্বরে আছেন লিটন দাস। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ব্যাটিংয়ে এক ধাপ এগিয়ে অবস্থান করছেন ৩৮ নম্বরে। দ্বিতীয় ইনিংসে বল হাতে ২ উইকেট নিয়ে ২ ধাপ এগিয়েছেন সাকিব, আছেন ২৬ নম্বরে।
এদিকে মিরপুর টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৫ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টিসহ মোট ৯ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। বাঁহাতি এই স্পিনার তিন ধাপ এগিয়ে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে উঠে এসেছেন ২০ নম্বরে।
এটিই তাইজুলের ক্যারিয়ারসেরা র্যাঙ্কিং। এর আগে ২০১৮ সালের নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর তার র্যাঙ্কিং হয়েছিল ২১।
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বড় লাফ দিয়েছেন এবাদত হোসেন। আইরিশদের বিপক্ষে টেস্টে ৫ উইকেট নিয়ে ১৫ ধাপ এগিয়েছেন এই পেসার। এখন তার অবস্থান ৬৭ নম্বরে। এটি তার ক্যারিয়ারসেরা অবস্থান।
Advertisement
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন সাকিব। টেস্টে তিনি অলরাউন্ডারদের মধ্যে আছেন তিন নম্বরে।
এমএমআর/জেআইএম