ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। হাতে মেহেদি না দিলে ঈদের আনন্দ কখনো পূর্ণতা পায় না! তাই রমজানের শেষ মুহূর্তে এসে সবাই মেহেদি কেনার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দেয়। তবে হাতের কাছে যে কোনো মেহেদি পেলেই কম মূল্যে কিনবেন না। এতে মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে।
Advertisement
কারণ ঈদকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারে কেমিক্যালযুক্ত নকল মেহেদি ছড়িয়ে দেন। আর সেগুলোই দেদারছে বিক্রি হয়। এসব মেহেদি ব্যবহারে ত্বক পুড়ে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঈদে কসমেটিকস কেনার সময় আসল-নকল চিনবেন যেভাবে
এমনকি অ্যালার্জি, ফুসকুড়ি বা ফোসকা ওঠার ঝুঁকি থাকে। তাই মেহেদি কেনার আগে সতর্ক হওয়া জরুরি। জেনে নিন মেহেদি নকল কি না তা চেনার উপায়-
Advertisement
১. খাঁটি মেহেদির রং কখনো কালো হয় না। সব ধরনের কালো মেহেদিতেই ভেজাল বা কেমিক্যাল মেশানো থাকে।
২. আসল মেহেদি কখনো ৫ মিনিট বা তার কম সময়ে গাঢ় রং দেয় না। ২৪-৪৮ ঘণ্টা পর আসল মেহেদির রং গাঢ় হতে শুরু করে।
৩. মেহেদির রং গাঢ় খয়েরি না হলে অনেকেরই মন খারাপ হয়ে যায়। তবে জানেন কি? আসল মেহেদির রং কখনোই এতোটা গাঢ় হয় না।
৪. মেহেদি কেনার সময় মেয়াদ দেখে কিনুন। বেশি পুরোনো হলে আবার রং না হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
Advertisement
আরও পড়ুন: জবা ফুলের রসেই পাকা চুল হবে কালো, বন্ধ হবে চুল পড়া
৫. পার্লারে মেহেদি লাগাতে গেলে দেখে নিন নতুন মেহেদি ব্যবহার করছে কি না। প্রয়োজনে নিজেই মেহেদি কিনে নিয়ে যান।
৬. ফ্রিজে রাখা মেহেদি ব্যবহারের আগে কিছুক্ষণ স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দিন। তারপর হাতে লাগান।
৭. শিশুদের ত্বকে ব্যবহারের জন্য পাতা মেহেদি বেটে লাগাতে হবে। এতে শিশুর কোমল হাত সুরক্ষিত থাকবে।
৮. ৫ মিনিটেই গাঢ় লাল রং পেতে এখন অনেকেই বিভিন্ন মেহেদি ব্যবহার করে থাকেন। এগুলো ত্বক এমনকি স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর। এগুলোতে প্রচুর কেমিক্যাল থাকে।
আরও পড়ুন: কেনাকাটার সময় দর কষাকষি করে জিতবেন যেভাবে
৯. যে কোনো মেহেদি ব্যবহারের আগে অল্প পরিমাণে হাতে অথবা কানের পেছনে ব্যবহার করুন। এতে অ্যালার্জি হলে জ্বালাপোড়া করবে বা চুলকাবে। এমন হলে ওই মেহেদি ব্যবহার করবেন না।
১০. মেহেদিতে সাধারণত কার্বোলিক এসিড ব্যবহার করা হয়। যা ত্বকের কোষগুলোকে মেরে ফেলে ও এর প্রতিরোধক ক্ষমতাকে ধ্বংস করে। ফলে মেহেদির রং দ্রুত গাঢ় হয়।
১১. মেহেদি থেকে অ্যালার্জি হওয়ার কারণ হলো এতে মেশানো পিপিডি কালি। এই কেমিক্যাল ত্বকের মারাত্মক অ্যালার্জি সৃষ্টি করে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল মেশানো হয় মেহেদিতে।
জেএমএস/এএসএম