ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কম দেওয়ার তথ্য যাচাই করতে এসে ডিলারের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
Advertisement
ইউএনওর নির্দেশে মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়ন বাজারের ডিলার ওমর ফারুকের দোকান পরিদর্শনে গেলে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।
স্থানীয়রা জানান, বাজারে ওমর ফারুকের দোকানে সকাল থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ চলছিল। তবে হতদরিদ্রের ৩০ কেজি চালের মধ্যে দুই কেজি করে কম দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে উপজেলা খাদ্য বিভাগের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা খাদ্য গুদামের এএসআই প্রবাস চন্দ্র দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের সময় চাল কম দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্যগুদামের এএসআই প্রবাস চন্দ্র দাস বলেন, ‘আধা কেজি চাল ডিলার কম দিতেই পারে। আর গোডাউনে চাল মজুত থাকলে শাটার খুলে দিলে বাতাস ঢুকে। তখন ৫০ কেজি চালের ওজন কমে যায়। এ ঘাটতি কি ডিলার জমি বিক্রি করে পূরণ করবে।’
Advertisement
চাল নিতে আসা উপকারভোগীরা বলেন, এখান থেকে চাল নিয়ে যেকোনো দোকানে ওজন দিলে দুই কেজি করে কম হয়। বিষয়টি প্রমাণ করতে ওই ডিলারের উপস্থিতিতে পাশের একটি দোকানে চাল ওজন দিলে দুই কেজি কম পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে উচাখিলা বাজারের ডিলার এমএ মালেক সরকার বলেন, ‘এখান থেকে চাল নিয়ে বের হয়ে অন্য কোথাও হয়তো বিক্রি করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমি চাল ওজনে কম দেইনি।’
একই দিন ডিলার ওমর ফারুকের দোকানে গিয়ে দেখা যায় ওজনে এক কেজি করে চাল কম দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বস্তা খুলে মাপ দিলে কিছুটা কম হতেই পারে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী (কর্মকর্তা) হাফিজা জেসমিন জাগো নিউজকে বলেন, চাল ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা খাদ্য বিভাগের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা খাদ্য গুদামের এএসআই প্রবাস চন্দ্র দাসকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এছাড়া ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
Advertisement
ইউএনও আরও বলেন, বাতাসে চালের ওজন কমে যায়, কথাটি যদি কেউ বলে থাকে তাহলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এসজে/এএসএম