তার দলভুক্তিতেই বদলে গেছে মোহামেডান। সেটা সত্য। সাকিব আল হাসান মাঠে নামার দিন থেকেই প্রথম জয়ের মুখ দেখেছে মোহামেডান। কিন্তু পারফরমার বিশেষ করে ব্যাটার সাকিব সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। প্রথম ২ খেলায় রান পাননি।
Advertisement
শেখ জামালের বিপক্ষে প্রথম খেলায় ৫ আর গত ম্যাচে সিটি ক্লাবের সাথে তেমন কিছু করার সুযোগও ছিল না। যখন মাঠে নামেন, তখন ইনিংসের বাকি ছিল ৩৮ বল। এরকম অবস্থায় শেষ দিকে নেমে ১৬ বলে ২৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছেন ‘চ্যাম্পিয়ন’ সাকিব।
আজ মঙ্গলবার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে সুযোগ ছিল বড় কিছু করার। কারণ এদিন শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে সাদা কালোরা। সাকিব যখন ক্রিজে যান, ৩ উইকেটে তখন ৪১ রান মোহামেডানের। ইনিংসের বয়স ৮.৩ ওভার।
৫ নম্বরে উইকেটে গিয়ে সাকিব শুরুতে অল্প কিছুক্ষণ খানিক আড়ষ্ট ছিলেন। স্পিনার রনির বলে স্লিপ আর গালির মাঝখানে ক্যাচও তুলে দিয়েছিলেন ৫ রানে। কিন্তু স্লিপ ফিল্ডার মাইশিকুর তা ধরতে পারেননি।
Advertisement
তারপর সাকিব খেলেছেন ভিন্ন মেজাজ ও ধরনে। দেখে মনে হচ্ছিল, বড় ইনিংস খেলার চেষ্টায়। কিছুটা স্ববিরোধী ঢংয়ে খেললেন। যেহেতু দল বিপদে, তাই বিপর্যয় কাটাতে রয়েসয়ে খেলার চেষ্টা ছিল। বড় ও আক্রমণাত্মক শটস না খেলে ইনিংস সাজাতে মনোযোগী থাকলেন সাকিব।
১৯টি শুধু সিঙ্গেলসই নিলেন। সঙ্গে তিনটি ডাবলস। তিনটি বাউন্ডারিও হাঁকালেন। কিন্তু হঠাৎ ছন্দপতন। ইনিংসের ২৩তম ওভারে পুল খেলতে গিয়ে মিস টাইম করে ৩৭ রানে আউট সাকিব।
ব্রাদার্সের তরুণ অলরাউন্ডার আনিসুল ইসলাম ইমনের জেন্টাল মিডিয়াম পেস খাটো লেন্থে পরে পেট সমান উচ্চতায় আসলে পুল খেলতে ব্যাট চালিয়ে দেন সাকিব। বল দেরিতে আসায় টাইমিংয়ের হেরফেরে ব্যাটের ওপরে লেগে সোজা আকাশে উঠে যায়। উইকেটকিপার জাহিদউজ্জামান পিছনে গিয়ে তা ধরে ফেললেন।
৪৫ বলে করা সাকিবের ওই ইনিংসটি শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে মোহামেডানের বিপর্যয় কাটিয়ে লড়াকু পুঁজি গড়ার পথ প্রায় রুদ্ধ হয়ে যায়। কারণ সাকিব আর রিয়াদ ছিলেন শেষ প্রতিষ্ঠিত জুটি।
Advertisement
তার আগে অধিনায়ক ইমরুল কায়েস (৭), মাহিদুল ইসলাম অংকন (১৪), সৌম্য সরকার (৯), মেহেদি হাসান মিরাজ (৭) সাজঘরে ফেরেন অল্প সময় ও সংগ্রহে। এর মধ্যে মিরাজ রান আউট হন সাকিবের সাথে সিঙ্গেলস নিতে গিয়ে দেরিতে দৌড় শুরু করে।
এআরবি/এমএমআর/জিকেএস