ভারতের জাতীয় রাজনৈতিক দলের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার (১১ এপ্রিল) দেশটির নির্বাচন কমিশন তৃণমূল কংগ্রেসসহ জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিকেও (সিপিআই) জাতীয় দলের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। অন্যদিকে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ) জাতীয় দলের মর্যাদা পেয়েছে।
Advertisement
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, অরুণাচল ও মনিপুর প্রদেশে রাজ্য পর্যায়ের দল হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসকে জাতীয় দলের মর্যাদা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সে সময় লোকসভা নির্বাচনে চারটি রাজ্য থেকে ছয় শতাংশ ভোট পেয়ে ‘রাজ্য দল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছিল মমতা ব্যানার্জীর দল।
আরও পড়ুন>> চলতি মাসের শেষের দিকেই তাপমাত্রা পৌঁছাতে পারে ৪০ ডিগ্রিতে
নির্বাচন কমিশনের কমিশনের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, এখন এ বিষয়ে কিছু বলছি না। দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা হবে।
Advertisement
নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, জাতীয় দল হতে গেলে তিনটি শর্তের অন্তত একটি পূরণ করতে হয়। এক, লোকসভায় অন্তত চারটি রাজ্য থেকে ৬ শতাংশ ভোট পেতে হবে। দুই, লোকসভায় তিনটি রাজ্য থেকে অন্তত ১১টি আসন (মোট আসনের ২ শতাংশ) জিততে হবে ও আগের জেতা আসনের অন্তত চারটিতে পুনরায় জিততে হবে। তিন, অন্তত চারটি রাজ্যে ‘রাজ্য দলের’ তকমা পেতে হবে।
গুজরাটের ভোটে তৃতীয় শর্তটি পূরণ করতে পেরেছেন কেজরিওয়াল। কোনো রাজ্যে ‘রাজ্য দলের’ তকমা পেতে গেলে সেখানকার বিধানসভা নির্বাচনে ছয় শতাংশ ভোট ও দু’টি আসন পেলেই চলে। দিল্লি ও পঞ্জাবে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি গত ফেব্রুয়ারিতে গোয়ার বিধানসভা ভোটেও ছয় শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল। এর পর ডিসেম্বরে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাটের বিধানসভা নির্বাচনেও একই শর্ত পূরণ করে তারা।
আরও পড়ুন>> জীবিত শিশুকে মৃত ঘোষণা দিলো হাসপাতাল
জানা যায়, জাতীয় দলের মর্যাদা হারানোয় বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা ছাঁটাই হতে পারে তৃণমূলের। প্রথমত, কোনো জাতীয় দলের চিহ্নকে দেশের অন্য কোনো রাজ্যে অন্য কোনো দল ব্যবহার করতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গ ও মেঘালয় বাদে মমতার জোড়াফুলের সেই ‘রক্ষাকবচ’ আর থাকবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।
Advertisement
দ্বিতীয়ত, দলীয় দপ্তর তৈরির জন্য সরকারের থেকে জমি বা কোনো ভবন মিলবে না। তৃতীয়ত, নির্বাচনের সময় সর্বাধিক ২০ জন ‘তারকা প্রচারক’ ব্যবহার করতে পারবে দলটি, আগে যেখানে সর্বাধিক ৪০ জন তারকা দলটির প্রচারে অংশ নিতে পারতো।
আরও পড়ুন>> প্রেমে বাধা দেওয়ায় প্রেমিকার বাবা-মাকে কুপিয়ে হত্যা
সূত্র: পিটিআই, ইন্ডিয়া টুডে
এসএএইচ