জাতীয়

প্রথম আলো আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্রের শত্রু: সংসদে প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, দেশের মানুষের শত্রু।

Advertisement

সোমবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে সংসদের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আনীত কার্যপ্রণালি বিধির ১৪৭ বিধির আওতায় ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, একটি শিশুর মুখ দিয়ে মিথ্যা বলানো, ভাত-মাংসের স্বাধীনতা চাই। একটি সাত বছরের শিশুকে দিয়ে বলানো, তার হাতে ১০টা টাকা তুলে দেওয়া এবং তার কথা রেকর্ড করে সেটি প্রচার করা স্বনামধন্য এক পত্রিকার নাম প্রথম আলো। কিন্তু বাস করে অন্ধকারে। প্রথম আলো আওয়ামী লীগের শত্রু, গণতন্ত্রের শত্রু, প্রথম আলো দেশের মানুষের শত্রু।

তিনি বলেন, আমি এটা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলি যে, এরা এদেশে কখনো স্থিতিশীলতা থাকতে দিতে চায় না। ২০০৭ সালে যখন ইমার্জেন্সি হয় তখন তারা উৎফুল্ল। দুটি পত্রিকা আদা-জল খেয়ে নেমে গেলো। তার সঙ্গে আছে একজন সুদখোর (ড. মুহাম্মদ ইউনূস)।

Advertisement

আরও পড়ুন: খালেদাকে পদ্মা সেতুতে নিয়ে টুস করে ফেলে দেওয়া উচিত: প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, যে বিনিয়োগ করেন আমেরিকায়। আমেরিকা একবারও জিজ্ঞেস করে না যে গ্রামীণ ব্যাংক, এটা তো একটি সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। সরকারের বেতন তুলতো যে এমডি। সে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কোথা থেকে পেলো, যে আমেরিকার মতো জায়গায় সামাজিক ব্যবসা করে, বিনিয়োগ করে। দেশে-বিদেশে করা এই বিনিয়োগের অর্থ কোথা থেকে আসে? এটা কি তাকে কখনো জিজ্ঞেস করেছে? জিজ্ঞেস করেনি। তাদের কাছ থেকে দুর্নীতির কথা শুনতে হয়। এদের কাছে মানবতার কথা শুনতে হয়।

‘যারা গরিবের রক্ত চোষা, যারা গরিবের টাকা পাচার করে শত কোটি টাকার মালিক হয়ে আবার আন্তর্জাতিক পুরস্কারও পেয়ে যায়, আর এসব লোক এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার চেষ্টা করে, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।’

আরও পড়ুন: আইন প্রণয়নে বৈধতা দেওয়া ছাড়া সংসদ কিছু করতে সক্ষম নয়

Advertisement

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এসে কিছুই নাকি করেনি। এসময় তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এবং বিএনপির আমলে কী কী উন্নয়ন হয়েছে তার তুলনামূলক চিত্র বর্ণনা করেন।

এইচএস/এমএইচআর/জেআইএম