জাতীয় দলে পরীক্ষিত পেস বোলিং অলরাউন্ডার সাইফউদ্দীন। জাতীয় দলের লাল সবুজ জার্সি গায়ে এরই মধ্যে ২৯ ওয়ানডে ( ৪১ উইকেট) আর ৩৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ (৩৪ উইকেট) খেলে ফেলেছেন সাইফউদ্দীন। কিন্তু মাঝে জাতীয় দলে জায়গা হারিয়ে ফেলেছেন। আবার জাতীয় দলে ফিরতে মরিয়া সাইফউদ্দীন এবারের লিগে আবাহনীর হয়ে ৮ খেলায় ১৭ উইকেট দখল করে নজর কেড়েছেন সবার। কিন্তু তারপরও আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ওয়ানডে স্কোয়াডে জায়গা হয়নি সাইফউদ্দীনের।
Advertisement
দলে পেস বোলিং অলরাউন্ডার হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে আগামী মে মাসে যে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হবে, তাতে টিম বাংলাদেশের একমাত্র নতুন মুখও মৃত্যুঞ্জয়। এবারের লিগে শেখ জামালের হয়ে ৭ ম্যাচে অংশ নিয়ে ১২ উইকেট দখল করেছেন মৃত্যুঞ্জয়। সেরা বোলিং ৩১ রানে ৩ উইকেট।
কেমন লাগছে প্রথমবার জাতীয় দলে জায়গা পেয়ে? এত তাড়াতাড়ি ডাক আসবে, তা কি ভেবেছিলেন? জাতীয় দলে জায়গা পাবার খবর জানলেন কিভাবে? নির্বাচকদের কেউ কি ফোন করে জানিয়েছেন?
জাগো নিউজের কাছ থেকে এসব প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে জবাব দিতে গিয়ে মৃত্যুঞ্জয় প্রথমেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। বলেন, ‘আলহামদুল্লিাহ। আল্লাহর রহমতে ডাক পেলাম। খুব ভালো লাগছে।’
Advertisement
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মূল দলে জায়গা না পেলেও ২৪ জনের প্রাথমিক দলে ছিলেন মৃত্যুঞ্জয়। জানালেন, আমি ইংল্যান্ডের ভিসার জন্য দাঁড়িয়েও ছিলাম। সেটা কি রকম?
মৃত্যুঞ্জয়ের ব্যাখ্যা, আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজ হবে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে। সেজন্য স্ট্যান্ডবাই ধরে মোট ২৪ জন ক্রিকেটারের ভিসা করতে দেওয়া হয়েছে। আমিও ছিলাম ওই ২৪ জনে। ৪ দিন আগে ভিসা করতে গিয়েছি ব্রিটিশ হাইকমিশনে। তবে তখনো ভাবিনি যে মূল দলে থাকবো। আর এত তাড়াতাড়ি জায়গা পাবো তাও আশা করিনি। আজ বিকেলে জানলাম, আমাকে দলে নেওয়া হয়েছে। আমি আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে খেলার জন্য মনোনীত হয়েছি।
তবে কী জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখতেন না? হ্যাঁ, দেখতাম। সেটা যেদি থেকে ঢাকা তথা দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের টপ লেভেলে খেলতে শুরু করি, তখন থেকেই মনে স্বপ্ন ছিল জাতীয় দলে খেলার। একটা আশার জাল বুনে রেখেছিলাম একদিন জাতীয় দলে খেলবো।’
মৃত্যুঞ্জয় যোগ করেন, ‘মনে হচ্ছিল হয়তো কিছুদিনের মধ্যে ডাক পেয়েও যাব। আল্লাহর রহমতে এবারই ডাক আসলো। এটা আমার জীবনের অনেক বড় স্বপ্ন পূরণ। অনেক বড় পাওয়া। ’
Advertisement
ইংল্যান্ডের সঙ্গে জাতীয় দল ঘোষণার আগে দুটি প্র্যাকটিস ম্যাচে ডাক পেয়েছিলেন। আর ইংল্যান্ডের সঙ্গে চট্টগ্রামে দলের সঙ্গে নেট করেছেন। চট্টগ্রামের পুরো অংশ মৃত্যুঞ্জয় দলের সঙ্গে ব্যাকআপ বোলার হিসেবে নেটে প্র্যাকটিস করেছেন। তার অনুভব, তখনই তার দিকে টিম ম্যানেজমেন্ট ও কোচের চোখ পড়েছে। হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে সেভাবে আলাপ হয়নি। হাই হ্যালো হয়েছে। তবে পেস বোলিং কোচ অ্যালান ডোনাল্ড নেটে তার বোলিং দেখেছেন। তার সঙ্গে কথা বলেছেন। তাকে নিয়ে কিছু কাজও করেছেন। মৃত্যুঞ্জয়ের ধারণা, তার দলভুক্তির পেছনে সেটাও একটা কারণ হতে পারে।
সব মিলে নিজে তিলে তিলে তৈরি করেছেন সাতক্ষীরার এ ২১ বছরের এ যুবা। জানালেন, ‘আমি খেলার সুযোগ পেলে সামর্থ্যের সবটুকু উজার করে চেষ্টা করবো নিজেকে মেলে ধরতে।’
এআরবি/জিকেএস