রিয়াদে পুনরায় দূতাবাস খোলার প্রস্তুতি হিসেবে ইরানের একটি প্রতিনিধিদল চলতি সপ্তাহেই সৌদি আরব সফর করবে। ইরানের আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা আইএসএনএ এ তথ্য জানায়। এর আগে রোববার (৯ এপ্রিল) ইরান সফর করে সৌদি আরবের একটি কূটনৈতিক প্রতিনিধিদল।
Advertisement
আইএসএনএ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের প্রতিনিধি দল রিয়াদে তেহরানের দূতাবাস পরিদর্শন করবে ও সৌদি আরবে পুনরায় ইরানের দূতাবাস চালু করার ব্যবস্থা করবে।
আরও পড়ুন>> সৌদি-ইরানকে এক করলো চীন, পশ্চিমাদের মাথাব্যথা
এদিকে, শনিবার (৮ এপ্রিল) সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল, ইরানে পুনরায় রিয়াদের কূটনৈতিক মিশন চালু করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করতে সৌদি সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইরানে গিয়েছিলেন। রোববার সকালে তারা তেহরানে অবস্থিত সৌদি দূতাবাস পরিদর্শন করেছেন।
Advertisement
এর আগে গত মাসে চীনের মধ্যস্থতায় প্রায় সাত বছর বন্ধ থাকা কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠানে সম্মত হয় সৌদি আরব ও ইরান। চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে কয়েকদিনের আলোচনা শেষে গত ১০ মার্চ জানা যায়, দেশ দুইটি ৬০ দিনের মধ্যে দূতাবাস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আরও পড়ুন>> বড় দুই মুসলিম দেশের পুনর্মিলনে অস্বস্তিতে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল
সেসময় কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব ও ইরান একে অপরের সার্বভৌমত্ব ও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে শ্রদ্ধা প্রদর্শনে সম্মত হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালু করতে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, আগে সেগুলো বাস্তবায়ন করা হবে। পরে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেদের কূটনীতিক নিয়োগ দেবেন।
এর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলেছিল, সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের ঘোষণাটি আশ্চর্যজনক হলেও প্রত্যাশিত ছিল। কারণ দুটি দেশ প্রায় দু’বছর ধরে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে আসছিল। মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিমপ্রধান ও তেলসমৃদ্ধ দুই দেশের এ পুনর্মিলন বিশ্ব ব্যবস্থায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে দাবি করছেন অনেকে।
Advertisement
আরও পড়ুন>> সৌদির সঙ্গে সমঝোতার পর চীন-রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ মহড়ায় ইরান
২০১৬ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করা নিয়ে ইরান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার স্থবিরতা দেখা দেয়। তবে সেসময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসে সৌদি আরব ও ইরান। তারপর থেকেই আঞ্চলিক জোটে পরিবর্তন আসতে শুরু করে।
সূত্র: রয়টার্স
এসএএইচ