দেশজুড়ে

নিয়োগে মাদরাসা সুপারের বিরুদ্ধে ২০ লাখ ঘুস নেওয়ার অভিযোগ

চাকরি দেবেন বলে দুজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন মাদরাসা সুপার। তবে তাদের চাকরি না দিয়ে অন্যজনের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে নিয়োগ বোর্ড বসান। বিষয়টি প্রার্থীরা জানতে পেরে এলাকাবাসীসহ এসে প্রতিষ্ঠানে আন্দোলন করেন। পরে প্রশাসন এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। তোপের মুখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন মাদরাসা সুপার।

Advertisement

শুক্রবার (৭ এপ্রিল) এমনই ঘটনা ঘটেছে জয়পুরহাট সদরের শেখপাড়া সাচ্চাপীর সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসায়। প্রতিষ্ঠানটির আয়া ও নিরাপত্তাপ্রহরী দুটি পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে মাদরাসা সুপার আব্দুল জলিল ২০ লাখ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

ভুক্তভোগী শেখপাড়া গ্রামের শাকিল মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, মাদরাসা সুপার আমাকে নিরাপত্তাপ্রহরী পদে চাকরি দেবেন বলে আমার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা নিয়েছেন। অথচ আজ যে নিয়োগ পরীক্ষা হবে তা আমাদের জানাননি। পরে জানতে পারলাম এখানে নিয়োগ পরীক্ষা চলছে। তখনই আমার মাথা ঘুরে গেলো। এত কষ্ট করে জমি বিক্রি করে টাকা দিলাম অথচ আমাকে চাকরি না দিয়ে তিনি অন্য প্রাথী নিয়ে এসে পরীক্ষা নিচ্ছেন। তিনি বলেন, এই ঘুসখোর সুপারের শাস্তির দাবি জানাই।

একই গ্রামের ইউনুস মিয়ার স্ত্রী রেহেনা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার ছেলে বউয়ের জন্য আয়া পদে সুপারকে পাঁচ লাখ টাকা নগদ দিয়েছি। নিয়োগের পর বাকি পাঁচ লাখ নেওয়ার কথা। অথচ আজ এসে দেখি অন্যদের নিয়ে এসে পরীক্ষা নিচ্ছেন।’

Advertisement

জাগো নিউজের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় আজিজুল হক। তিনি বলেন, ‘ভাই, কী বলবো? এ প্রতিষ্ঠানে মাত্র ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তার বিপরীতে শিক্ষক ১৭ জন। লেখাপড়া ভালো হয় না। এসব কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। সুপার কোনো ব্যবস্থা নেন না। আমরা এ সুপারের শাস্তি চাই।’

মাদরাসা ডিজির প্রতিনিধি মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোহাম্মদ হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখানে এসে কমিটির সদস্যদের কাছ থেকে জানতে পারলাম, অর্থ লেনদেন হয়েছে। এ কারণে নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ করে চলে যাচ্ছি।’

অভিযোগের বিষয়ে শেখপাড়া সাচ্চাপীর সিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুল জলিল জাগো নিউজকে বলেন, ‘টাকা-পয়সা দিতে মানুষকে নিষেধ করেছি। আমার নামে মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ দেওয়া হচ্ছে।’

মাদরাসার সভাপতি মাজেদুল ইসলাম মাজেদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘চারমাস আগে আমি সভাপতি হয়েছি। শুনেছি আগের যিনি সভাপতি ছিলেন তিনি এবং সুপার মিলে কিছু টাকা-পয়সা নিয়েছিলেন। কিন্তু সেটি ফেরত দিয়েছেন কি না আমার জানা নেই।’

Advertisement

এসআর/জেআইএম