পশ্চিমবঙ্গ প্রতিনিধি:
Advertisement
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠলো পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল সুপার স্পেশালিস্ট সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষণ দিলো হাসপাতালটি। এমনকি ডেথ সার্টিফিকেটও তুলে দেওয়া হয়েছিল শিশুটির পরিবারের হাতে।
জানা যায়, গত শনিবার (৮ এপ্রিল) পশ্চিমবঙ্গের গড়বেতার রসকুন্ডু গ্ৰামের মনলিশা খাতুন নামে এক গৃহবধূ প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ঘাটাল সুপার স্পেশালিস্ট হাসপাতালে ভর্তি হন। দুপুর ২টার দিকে একটি ফুটফুটে শিশুপুত্রের জন্ম দেন তিনি। যদিও শিশুটির ওজন ছিল অনেক কম।
আরও পড়ুন>> প্রেমে বাধা দেওয়ায় প্রেমিকার বাবা-মাকে কুপিয়ে হত্যা
Advertisement
বিকেল ৫টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, শিশুটি মারা গেছে। মাথায় মৃত স্ট্যাম্প লাগিয়ে, ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে ভালো করে প্যাকিং করে রাত ৯টা নাগাদ শিশুটিকে পরিবারের হাতে তুলে দেন চিকিৎসকরা।
কিন্তু বাড়ি ফিরে শিশুটিকে কবর দিতে গিয়ে চোখ কপালে ওঠে পরিবারের সদস্যদের। শিশুটি হঠাৎ নড়ে ওঠে, শ্বাস-প্রশ্বাসও নিচ্ছিল। দেহে প্রাণ রয়েছে বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত শিশুটিকে ফের একই হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু এবারও চিকিৎসাচলাকালীন শিশুটির মৃত্যু হয় বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন>> ভারতের পূর্ব রেলওয়ের ২৮৮ স্টেশনে আধুনিক চিকিৎসা সেবা চালু
Advertisement
পরিবারের সদস্য সেলিম খান বলেন, শিশুটির দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হয়ে গিয়েছিল। তারপর হঠাৎ দেখি ওর দেহে প্রাণ রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানে চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা বলেন, মারা গেছে। আমার প্রশ্ন একটা, বাচ্চার দু’বার মৃত্যু হয় কীভাবে? আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাবো, এই ঘটনার যেন তদন্ত হয়।
হাসপাতালে সুপার সুব্রত দে জানান, বাচ্চাটার জন্মের পর ওজন খুবই কম ছিল। দুপুরে ওকে মৃত বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। সাত ঘণ্টা অবজার্ভেশনে রেখে তারপর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এরপর শুনলাম মাটি দিতে গিয়ে শিশুটির পরিবার দেখে দেহে প্রাণ রয়েছে। তারা ফের শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমরা এ ঘঠনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হবে।
কেএএ/