মাঝে হঠাৎ করেই বগুড়া স্টেডিয়ামে সব ধরনের ক্রিকেট আসর বন্ধের খবর প্রকাশিত হয়। তারই পূর্বশর্ত হিসেবে বিসিবি এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্টাফদের ফিরিয়ে আনা হয়েছিল ঢাকায়। সব কিছু মিলে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম ঘিরে এক অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। অবশেষে সে অচলাবস্থার অবসান হলো।
Advertisement
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের দায়িত্ব আবার বিসিবি তাদের হাতে নিয়েছে এবং এ মাঠে আগামীতে নিয়মিত খেলা আয়োজনের নিশ্চয়তাও মিলেছে।
বিসিবির অন্যতম শীর্ষ পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক ও বিসিবি অন্যতম সিনিয়র পরিচালক এবং গ্রাউন্ডস কমিটি চেয়ারম্যান মাহবুব আনামের কন্ঠে মিলেছে পরিষ্কার ইঙ্গিত।
তারা দু’জন শনিবার বিকেলে সাংবাদিকদের সাথে আলাপে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘এখন থেকে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়াম আগের মত ওভাবেই থাকছে এবং বিসিবি মাঠের সব দায়িত্ব নিচ্ছে।’
Advertisement
ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘বিসিবি আবার টেক ওভার করছে। আগামীকাল (আজ রোববার) থেকে কার্যক্রম শুরু হবে।’
মল্লিক যোগ করেন, ‘আমাদের অধীনে এনে এটাকে পরিচর্যা করতে হবে আগে। এরপর খেলা কি হবে, কার খেলা হবে- এসব গ্রাউন্ডস কমিটি ঠিক করবে। যেকোনো খেলার আগেই আমরা আগে গ্রাউন্ডস কমিটিতে পাঠাই। উনারা অনুমোদন দিলে তবেই খেলা হয়।’
‘বয়সভিত্তিক, সিসিডিএম, গেম ডেভেলপমেন্ট, নারী দল, এইচপি যাই হোক না কেন, মাঠ প্রস্তুত হলে গ্রাউন্ডস কমিটিতে পাঠানো হবে, উনারা সিদ্ধান্ত নিবে। তবে আগে আমরা মাঠটা টেক ওভার করতে চাই। আগামীকাল রোববার (আজ) থেকেই সেটা হবে। আমাদের মাননীয় বোর্ড সভাপতিও ক্লিয়ারেন্স দিয়ে দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করতে।’
বিসিবি গ্রাউন্ডস কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম জানান, বগুড়া এখন আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। মাহবুব আনামের ব্যাখ্যা, ‘বগুড়াতে এখন হোটেলের সমস্যা নাই। এখানে এখন যে হোটেল আছে, তা আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।’
Advertisement
‘নতুন যে ধারাগুলো এসেছে সেগুলো নিয়েও আমরা আলাপ করেছি। আগে বগুড়াতে আমরা খেলা পরিচালনা করেছি, দলগুলোকে বাসে করে যেতে হত। খুলনা থেকে বাসে করে দুটো দল বগুড়ায় এসে খেলেছে। আজকাল খেলা এতো পরিমাণে হচ্ছে, যাত্রার সময়টা সংকীর্ণ হয়ে গেছে। তবে এ ব্যাপারেও যে প্রস্তাবনা এসেছে সেটা সম্ভব। আমরা এ নিয়ে সরকারের সাথে আলাপ আলোচনা করবো।’
বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে কবে খেলা ফিরবে?
এ প্রশ্নর উত্তরে মাহবুব আনাম যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তার সারমর্ম হলো, ‘বগুড়া স্টেডিয়ামকে আবার আন্তর্জাতিক মান উপযোগি করে তুলতে হবে। মাঠ, ড্রেসিং রুম, আনুসাঙ্গিক অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা ও ইনডোর ফ্যাসিলিটিজ-এর কাজ করতে হবে। এবং সবকিছু কাজ করার পর আইসিসির নতুন করে অনুমোদন নিতে হবে। তারপর বগুড়ায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের প্রশ্ন।’
মাহবুব আনাম শেষ করেন এভাবে, ‘অবকাঠামোর মধ্যে ড্রেসিংরুম ছাড়াও ইন্ডোর সুবিধাসহ অন্য বিষয়গুলো ঠিক করতে হবে, যেন আন্তর্জাতিক ম্যাচ আবারও আয়োজন করা যায়। আইসিসির কাছে এ জন্য অনুমোদন নিতে হবে পুনরায়।’
এআরবি/আইএইচএস