রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ছয় দিন পার হলেও এখনো ধ্বংসস্তূপ থেকে উঠছে ধোঁয়া। কাপড়ের পোড়া গন্ধ ছড়াচ্ছে বাজার সংলগ্ন আশপাশের এলাকায়।
Advertisement
শুক্রবার শুরু হওয়া পোড়া মালামাল সরানোর কাজ রোববারও সকাল থেকে পুরোদমে চলছে। শ্রমিকরা কেউ পোড়া মালামাল দোকান থেকে বের স্তূপ করে রাখছেন, কেউ সেই মালামাল ট্রাকে তুলছেন।
আরও পড়ুন> বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড/জেলা প্রশাসনে তথ্য দিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ লাইন
এদিকে, অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমে আজও চলছে অনলাইনে জিডির কাজ।
Advertisement
সরেজমিনে দেখা গেছে, আগুন লাগার ৬ষ্ঠ দিনেও বঙ্গবাজারে ভস্মীভূত হওয়া দোকানগুলো থেকে ধোঁয়া উঠছে। বিভিন্ন জায়গায় পোড়া কাপড় ও মালামাল থেকে এই ধোঁয়া ছড়াচ্ছে বাতাসে। আর এর মাঝে পোড়া মালামাল সরানোর কাজ আজও চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।
কয়েকজন ব্যবসায়ী ও শ্রমিক জানান, পোড়ে যাওয়া লোহা ও টিন কেটে সরাতে হচ্ছে। কোনোটা এখনো তপ্ত হয়ে আছে। একে একে সবগুলো মালামাল পুরোপুরি পরিস্কার করা হবে। এখনো আরো কয়েকদিন সময় লাগবে।
আরও পড়ুন> বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ড/কুড়িয়ে পাওয়া পোশাকে ছিন্নমূলরাও এখন ‘ব্যবসায়ী’
এদিকে, পুড়ে যাওয়া লোহা ও টিন ৪০ লাখ টাকায় মার্কেট সমিতির অনুমতিতে বিক্রি করা হয়েছে। এ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের দেওয়া হবে বলেও জানান তারা।
Advertisement
এর আগে গত শুক্রবার (৭ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়ে পুড়ে যাওয়া মালামাল সরানোর কাজ শুরু করে দোকান মালিক সমিতি। মালামাল সরানোর কাজ তিন দিন ধরে চললেও এখনো অর্ধেেকই সরানো সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন> ডিএমপি কমিশনার/ব্যবসায়ীদের দ্বন্দ্বের কারণে আগুন কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে
অপরদিকে, এনেক্সকো টাওয়ারের সামনে অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমে আজও চলছে অনলাইনে জিডির কাজ। ব্যবসায়ীরা নিজ দোকানের নাম, জেলা প্রশাসন থেকে দেওয়া ফরম, ভোটার আইডি, ট্রেড লাইসেন্স এবং দোকানের নাম বা দোকানের ভিজিটিং কার্ড, কারোর ট্রেড লাইসেন্স দোকানেই পুড়ে যাওয়ায় শুধু ভোটার আইডি আর দোকানের ভিজিটিং কার্ড নিয়ে করতে পারছেন জিডি।
গত ৪ এপ্রিল সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে যায় বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সে বঙ্গ মার্কেট, গুলিস্তান মার্কেট, মহানগর শপিং কমপ্লেক্স, আদর্শ মার্কেট ও এনেক্সকো টাওয়ার।
আরএসএম/এসএনআর/এমএস