গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকা থেকে তিনমাস বয়সী এক শিশুকে অপহরণের পর উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার (৮ এপ্রিল) তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
Advertisement
গ্রেফতাররা হলেন নেত্রকোনার বারহাট্টা থানার বাউশি গ্রামের মজনু মিয়ার স্ত্রী আলপনা ওরফে রুবিনা (২৫), তার বড় বোন ও একই জেলার দুর্গাপুর থানার হাবিআলী গ্রামের আবুল কাশেমের স্ত্রী ফাতেমা (৩৫) ও ফাতেমার ছেলে রফিকুল ইসলাম (১৯)।
উদ্ধার হওয়া শিশুর নাম ফাতেমা খাতুন। সে ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার বিশ্বনাথপুর গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে।
নুর ইসলাম গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানার শিরিরচালা এলাকায় জনৈক মাজহারুল ইসলামের টিনশেড বাড়িতে স্ত্রীসহ ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। তার স্ত্রী একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।
Advertisement
গাজীপুরের শ্রীপুর থানার মুলাইদ পশ্চিমপাড়ার জনৈক সুবেদ আলীর ভাড়া বাসা থেকে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) দিনগত রাতে অভিযান চালিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার ও তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানোয়ার হোসেন, নন্দিতা মালাকার, রবিউল ইসলাম, জয়দেপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাতাব উদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, উদ্ধার হওয়া শিশুটির বাবা কাজের প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে চলে যাওয়ার পর বৃদ্ধ নানি দেখাশোনা করতেন। গত ২০ মার্চ আলপনা ওরফে রুবিনা একই বাড়িতে তাদের পাশের একটি রুম ভাড়া নেন। তিনি কোনো মোবাইল ফোন ব্যবহার করেননি। বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় জাতীয় কিংবা অন্য কোনো পরিচয়পত্রও জমা দেননি। তিনি শিশুটির পরিবারের সঙ্গে কৌশলে সখ্য তৈরি ও তাদের বিশ্বস্ততা অর্জন করেন।
গত ২ এপ্রিল শিশুটির বাবা-মা নিজ নিজ কর্মস্থলে যান। এসময় শিশুটিকে তার নানির কাছে ছিল। শিশুটি কান্নাকাটি করলে তিনি দুধ গরম করতে যান। এসময় কৌশলে শিশুটিকে অপহরণ নিজের রুমে নিয়ে ভেতর থেকে দরজার ছিটকিনি বন্ধ করে দেন আলপনা। পরে জানালা দিয়ে লাফ দিয়ে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা জয়দেবপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন।
Advertisement
আমিনুল ইসলাম/এসআর/জেআইএম