একে তো এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচ, তার উপর আবার প্রতিপক্ষ ভারত। তাই বলে কি টিকিটের এতো দাম হতে হবে! হ্যা সত্যি তাই, ক্রিকেট প্রেমিরা পাগল প্রায়। কারণ একটি ১৫০ টাকার টিকিটের দাম যে উঠেছে আড়াই হাজার টাকায়।টিকিট বিক্রি শুরুর ৩৬ ঘন্টা আগে থেকেই ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবি) এর সামনে ক্রিকেটপ্রেমীদের ভীড়। তবুও মিলছে না কাঙ্খিত টিকিট। ভুক্তভোগী টিকিট প্রত্যাশীদের অভিযোগ, ব্যাংকের মাধ্যমে সব টিকিট বিক্রি হচ্ছে না। টিকিটের ২০ শতাংশও দিতে পারেনি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তাহলে টিকিট গেলো কোথায়? অনেকেই আবার টিকিট পেয়েছেন কিন্তু ব্যাংকের সামনে লাইন দিতে হয় নি। তবে এজন্য গুনতে হয়েছে ১০ থেকে ২৫ গুন পর্যন্ত অতিরিক্ত টাকা। আতোয়ার নামে এক পান বিক্রেতা জানান, আমি বাংলাদেশ-ভারতের ফাইনাল ম্যাচ দেখার আশায় লাইনে দাড়িয়েছিলাম। কিন্তু টিকিট পাইনি। তবে বাইরে থেকে ব্লাকে ১৫০ টাকার টিকিট ১৮০০ টাকায় কিনেছি।শাহেদ নামে অপর এক ভুক্তভোগী ক্রিকেটপ্রেমী জানান, ১২ ঘন্টা লাইনে দাড়িয়েও টিকিট মেলেনি। সন্ধ্যার পর পরেই ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে টিকিট শেষ। তবে অধিকাংশ টিকিট প্রত্যাশী টিকিট না পেলেও কালো বাজারিদের হাতে ঠিকই বিক্রি হচ্ছে টিকিট।এমন টিকিট ব্লাকে না অনেকে জানান, ১৫০ টাকার টিকিট ৩ হাজার টাকা, ৫০০ টাকার টিকিট ৪ হাজার টাকা, এক হাজার টাকার টিকিট সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা এবং ১ হাজার টাকার ভিআইপি গ্যালারির টিকিট ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা ছাড়া মিলছেই না। জুয়েল নামে বেসরকারি কর্মকর্তা জানান, খেলা দেখবো বলে ছুটি নিয়েছি। কিন্তু টিকিট কিনতে বিপদে পড়েছি। টিকিট পাইনি। তবে ব্লাকে আড়াই`শ টাকার টিকিট ২৭`শ টাকা করে ২টি কিনেছেন তিনি। এব্যাপারে বিসিবির টিকিট ও সিটিং কমিটির প্রধান ইসমাইল হায়দার মল্লিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে বিসিবি থেকে জানিয়েছে, যথাযথ নিয়মে টিকিট বিক্রি হচ্ছে। টিকিট কালো বাজারিদে হাতে বিক্রি হয় হচ্ছে এমন অভিযোগ সব সময়ই থাকে।জেইউ/এমআর/আরআইপি
Advertisement