বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেফমুবিপ্রবি) ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীকে হলে ডেকে ১০ মিনিট কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখার ঘটনায় পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামীকালের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
নূর-এ-জান্নাত নামের ছাত্রলীগের এক নেত্রীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক এবং ফিশারিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান মুঠোফোনে এ তথ্য জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন। তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান, ড. মাহমুদুল আলম, সৈয়দ নাজমুল হুদা, এস এম ইউসুফ আলী ও এস এম রফিকুল বারী।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্র হাফিজুরের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে কমিটি
Advertisement
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ছাত্রলীগ নেত্রী তাকে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে বলেন। পরে অসুস্থ শরীর নিয়ে গত রোববার (২ এপ্রিল) দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে হলে এসে তার সঙ্গে দেখা করেন। পরে সিএসসি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক ছেলের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু ওই বিষয়ে তিনি অবগত ছিলেন না। পরদিন সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাকে নূরুন্নাহার বেগম হলের ২৩৪ নম্বর রুমে আবারও ডেকে আনা হয়। পরে জুনিয়র এক শিক্ষার্থীর সামনে ১০ মিনিট কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখেন। এতে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এক ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরে আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে বুধবার (৫ এপ্রিল) সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে একধরনের মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। তারা বলেন, প্রেম সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এক জুনিয়র শিক্ষার্থী নূরে জান্নাতের কাছে হয়তো বিচার দিয়েছিলেন প্রেম সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে। পরে নূরে জান্নাত ওই ছাত্রীকে হলে ডেকে নিয়ে এ ঘটনা ঘটান।
জাকিয়া সুলতানা মুঠোফোনে জাগো নিউজকে বলেন, মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পর তিনি কিছুটা সুস্থতাবোধ করলেও সন্ধ্যায় আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে প্রথমে জামালপুর সদর হাসপাতাল এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শহরের বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ঘটনায় সোমবার (৩ এপ্রিল) প্রক্টর বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। উপাচার্য হাসপাতালে তাকে দেখতেও গিয়েছিলেন এবং সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় গত ৩ এপ্রিল একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। অভিযোগের আলোকে আমাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামীকালের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
মো. নাসিম উদ্দিন/আরএইচ/জিকেএস