সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি নথি ‘চুরি চেষ্টার’ অভিযোগে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনে করা মামলার অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২১ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) অধিকতর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এ দিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগশেন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূর প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার নথি চুরির মামলা তদন্ত করবে পিবিআই
২০২১ সালের ১৭ মে দুপুরের পর স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবের একান্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঞার কক্ষে রোজিনা ইসলামকে প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
Advertisement
মামলায় রোজিনার বিরুদ্ধে ১৮৬০ সালের দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় চুরি এবং ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’র ৩ ও ৫ ধারায় গুপ্তচরবৃত্তি এবং রাষ্ট্রীয় গোপন নথি নিজের দখলে রাখার অভিযোগ আনা হয়। রোজিনা যেসব নথির ‘ছবি তুলেছেন’ তার মধ্যে ‘টিকা আমদানি’ সংক্রান্ত কাগজপত্রও ছিল বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে নথি চুরির সত্যতা পায়নি ডিবি
এরপর ২০২২ সালের ৪ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোর্শেদ আলম খান এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পায়নি বলে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।
২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলার বাদী শিব্বির আহমেদ ওসমানী ডিবির দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের ওপর নারাজি দেন। আদালত নারাজি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
Advertisement
আরও পড়ুন: সাংবাদিক রোজিনার বিরুদ্ধে মামলায় যে অভিযোগ এনেছে স্বাস্থ্য বিভাগ
জেএ/এমকেআর/এএসএম