লাইফস্টাইল

শিশুর গায়ে র‍্যাশ, ভাইরাল সংক্রমণের লক্ষণ নয় তো?

নবজাতক কিংবা শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা খুবই থাকে। তারা সহজেই বিভিন্ন রোগ ও সংক্রমণের শিকার হয়। বর্তমানে ভাইরাল র‍্যাশের সমস্যা দেখা দিচ্ছে শিশুর মধ্যে। শিশুদের ভাইরাল ফুসকুড়িগুলোর মধ্যে আছে- ভেসিকল, বাম্প, ফুসকুড়ি বা ফোসকা।

Advertisement

ভাইরাল সংক্রমণের উপর নির্ভর করে ফুসকুড়ি বিভিন্ন ধরনের হতে পারে। ফুসকুড়ি কয়েক দিনের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যেতে পারে বা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক শিশুদের ভাইরাল র‍্যাশ হওয়ার কারণ ও চিকিৎসার বিকল্পগুলো কী কী-

আরও পড়ুন: যেসব কারণে শিশু হঠাৎ কেঁদে ওঠে 

ভাইরাল ফুসকুড়ি কত প্রকার?

Advertisement

হেলথলাইন অনুসারে, হাম, মাম্পস, চিকেন পক্স ও রুবেলার কারণে ফুসকুড়ি হতে পারে। এই রোগগুলো শ্লেষ্মা ও লালার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

কিছু ফোসকা তরল স্পর্শ করেও ছড়াতে পারে। এই অবস্থাগুলো অত্যন্ত সংক্রামক। সহজেই নবজাতক ও শিশুদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ফুসকুড়ি।

আরও পড়ুন: শিশুর ৬ মাস হলে যেসব খাবার খাওয়ানো জরুরি 

ফিফথ ডিজিজ বা পঞ্চম রোগের কারণে শিশুর গালে উজ্জ্বল লাল ফুসকুড়ি দেখা দেয়। একটি নির্দিষ্ট ভাইরাস, পারভোভাইরাস বি ১৯ এই রোগের কারণ। ফুসকুড়ির পাশাপাশি শিশুর জ্বর ও শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা থাকতে পারে।

Advertisement

মুখের দাগ কিছুদিন পরে অদৃশ্য হয়ে যায়। তবে শিশুর ত্বকে বা হাত-পায়ে ফিতার মতো গোলাপি দাগ তৈরি হতে পারে।

আরও পড়ুন: শিশু অতিচঞ্চল ও অমনোযোগী হয়ে ওঠে যে রোগের কারণে 

এই রোগের চিকিৎসা হিসেবে অ-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগস, অ্যান্টি-ইচ ক্রিম বা অ্যান্টিহিস্টামিনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

ভাইরাল ফুসকুড়ির চিকিৎসা কী?

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভাইরাল ফুসকুড়ি চিকিৎসা ছাড়াই ভালো হয়ে যায়। এ সময় শিশুর শরীরের ব্যথা সারাতে অ্যাসিটামিনোফেন দারুণ কাজ করে।

আরও পড়ুন: শিশুর ডাউন সিনড্রোম হওয়ার কারণ কী? 

এর পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে তরল বা বুকের দুধ খাওয়াতে হবে শিশুকে। পাশাপাশি প্রচুর বিশ্রাম দিতে হবে ও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চুলকানি প্রশমিত করার মলম বা ক্রিম ব্যবহার করতে হবে। শিশুকে ঢিলেঢালা পোশাক পরাতে হবে।

ভাইরাল র‍্যাশ প্রতিরোধে করণীয়

ভাইরাসের সংস্পর্শে আসা রোধ করা সব সময় সম্ভব নাও হতে পারে। যাই হোক কিছু সতর্কতা শিশুদের ভাইরাল রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। শিশুকে নিয়মিত টিকা দিতে হবে।

আরও পড়ুন: বাবা-মায়ের যে ভুলে সন্তান রাগী ও জেদি হয়ে ওঠে 

ফুসকুড়ি গুরুতর কি না কীভাবে বুঝবেন?

যদি ফুসকুড়ির লক্ষণগুলোর সঙ্গে জ্বর, ফুলে যাওয়া গ্রন্থি, কাশি বা সর্দি থাকে তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সূত্র: প্রেসওয়্যার ১৮

জেএমএস/জিকেএস