জাতীয়

বঙ্গবাজারে আজও কোথাও কোথাও জ্বলছে আগুন

রাজধানীর বঙ্গবাজার মার্কেটের মূল আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ২৮ ঘণ্টা পর এখনো জ্বলছে আগুন, উঠছে ধোঁয়া। এর আগে মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ভোর ৬ টা ১০ মিনিটে আগুন লাগে বঙ্গবাজারে। এখনো কোথাও কোথাও জ্বলছে সেই আগুন। উঠছে কালো ধোঁয়া। তা নিভাতে পানি ছিটাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও। আর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া দোকানের অংশ দেখতে সকাল থেকেই আসছেন ব্যবসায়ীরা।আরও পড়ুন>> মধ্যরাতেও কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৪০ ইউনিট

Advertisement

বুধবার (৫ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবাজারে পুড়ে যাওয়া মার্কেটে গিয়ে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বঙ্গবাজারে পুড়ে যাওয়া মার্কেটে আজও কোথাও কোথাও আগুন জ্বলছে। একাধিক স্থানে উঠেছে ধোঁয়া। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা কাজ করছে। জীবনের শেষ সম্বল হারানো হাজারো ব্যবসায়ীরা ঘুরে ঘুরে তা দেখছেন আর স্মৃতিচারণ করছেন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে ব্যবসায়ী মো. ইউসুফ বলেন, আমাদের চারটা দোকান ছিল। সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার আর কিছুই করার নেই। সামনে ঈদ সবাই আমার দিকে তাকিয়ে ছিল একদিনেই সব শেষ হয়ে গেলো।আরও পড়ুন>> দোকান মালিকদের বাধায় ঝুঁকিপূর্ণ বঙ্গবাজার ভাঙা যায়নি: তাপস

Advertisement

ব্যবসায়ী মেহেদী বলেন, ১৪ থেকে ১৫ লাখ টাকার গার্মেন্টসের মালামাল ছিল দোকানে। সব পুড়ে গেছে।এনাম নামের আরেক ব্যবসায়ী বলেন, দুইটা দোকানে তার প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার মালামাল ছিল। সব পুড়ে গেছে। নিঃস্ব হয়ে গেছি।আরও পড়ুন>> পানির সংকটে ফায়ার সার্ভিস

মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণের কথা জানান ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক। আগুন নেভাতে সকাল থেকে কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট। এরপর সেখানে নির্বাপণ কাজে যোগ দেন সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যসহ র্যাব, বিজিবি ও ওয়াসার সদস্যরা।

অন্যদিকে, অগ্নিকাণ্ডে কারো প্রাণহানির খবর পাওয়া না গেলেও উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া ফায়ার সার্ভিসের একাধিক সদস্য আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। মার্কেটের অধিকাংশ দোকানের মালামাল পুড়ে গেছে। ঈদ ঘিরে ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ব্যবসায়ীদের অনেকে জানিয়েছেন, তারা ঈদ সামনে রেখে ঋণ ও ধারদেনা করে দোকানে নতুন মালামাল তুলেছিলেন। আগুন লাগার ঘটনায় তাদের অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।আরও পড়ুন>> জাগো নিউজের সংবাদ দেখিয়ে যা বললেন ফায়ারের ডিজি

আরএসএম/এমএএইচ/জেআইএম

Advertisement