ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় শ্রেণিকক্ষে নির্যাতনের শিকার বাবা-ছেলেকে আশ্রয়ণের ঘর দেওয়া হয়েছে। মধুখালী পৌরসভার দাউলিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় দুই শতাংশ জমিসহ পাকা ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয় তাদের।
Advertisement
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় মধুখালী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী নির্যাতিত ইয়ামিন মৃধাকে সরকারি ঘরটি বুঝিয়ে দেন। ঘর পেয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন ইয়ামিন।
আরও পড়ুন: শ্রেণিকক্ষে নির্যাতনের শিকার বাবা-ছেলের বাসায় জেলা প্রশাসক
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- মধুখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামিম আরা, মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম।
Advertisement
ইয়ামিন মৃধা বলেন, ‘আমার জীবনের স্মরণীয় দিন। আমি ধন্যবাদ জানাই প্রশাসনকে। আমাকে মাথা গোঁজার জন্য একটি স্থায়ী ঘর দিয়েছে। বিগত ১০ বছর ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। এখন থেকে আর ভাড়া বাসায় থাকা লাগবে না।’
তিনি আরও বলেন, বিকেলে আমার ছেলেও ছাড়া পেয়েছে। তাকে নিয়ে যশোর থেকে মধুখালীতে ফিরছি। আমাকে ও ছেলেকে নির্যাতনের বিচার চাই।
আরও পড়ুন: শ্রেণিকক্ষে বাবা-ছেলেকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, যুবক আটক
এর আগে ১৭ মার্চ ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি শ্রেণিকক্ষে ইয়ামিন মৃধা ও তার ছেলেকে নির্যাতন করা হয়। এরপর নির্যাতনের ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হলে নিন্দার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হলেও এখন পর্যন্ত অধরা মূলহোতা স্কুলশিক্ষিকা ইশরাত জাহান লিপি ও তার সহযোগী রুমা। আর মামলার প্রধান আসামিও এরইমধ্যে জামিনে বেরিয়ে গেছেন। অপরদিকে নির্যাতনের শিকার ইয়ামিন মৃধার ছেলে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে সংশোধনাগার থেকে মঙ্গলবার মুক্ত হয়েছে।
Advertisement
এন কে বি নয়ন/এসজে/এমএস