মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও পুণ্যময় মাস হলো পবিত্র রমজান। এ মাস মুমিনের জন্য রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের কারণ হয়ে আগমন করে। সুতরাং দেশের মতো প্রবাসীরাও রমজানের জন্য প্রয়োজনীয় সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার চেষ্টা করে থাকেন। শারীরিক, মানসিক, বৈষয়িক ও অভ্যাসগত- সবক্ষেত্রেই পরিপূর্ণ প্রস্তুতি থাকতে হয়।
Advertisement
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব, কুয়েত, কাতারসহ আরব দেশগুলোতে রমজানব্যাপী সরকারি-বেসরকারি ও বিভিন্ন চ্যারিটি সংস্থার পক্ষ হতে মসজিদে এবং বিভিন্ন দেশের অভিবাসী অধ্যষিত অঞ্চলগুলোতে তাবু টাঙিয়ে ইফতারি প্যাকেট দেওয়া হয়। এছাড়া স্থানীয়রা ব্যক্তি উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে থাকেন। আসরের পর অনেক স্থানীয়কে পথচারীদের মধ্যে ইফতারি বিতরণ করতে দেখা যায়।
ইফতারি প্যাকেটে খেজুর, পানি, জুস, ফল, মাংস, বিরিয়ানি থাকে। ডিউটি শেষে বাসায় ইফতারি তৈরির ঝামেলা এড়াতে বাংলাদেশ, ভারত, মিশর, শ্রীলঙ্কানসহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা নিদিষ্ট স্থানে এ ইফতারি সংগ্রহ নিয়ে থাকেন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে রমজানে নিজ নিজ দেশের প্রবাসীরা একে অন্যের সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন ফলে তাদের খাবারের কষ্ট কম দেখা যায়।
এছাড়ারমজানে বাংলাদেশি হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে থাকে ছোলা, পেঁয়াজু, বেগুনি, জিলাপি ও হালিমসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় রেসিপি। রোজা রেখে ইফতারের আগ মুহূর্তে বাংলাদেশি হোটেলগুলোতে পছন্দের খাবার কিনতে ভিড় জমান প্রবাসীরা। রমজান মাসজুড়ে বাংলাদেশি হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলোতে বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ইফতারের আয়োজন করা হয়।
Advertisement
প্রবাসীরা মনে করেন, আরব দেশগুলোর মতো রমজানে দেশেও বিত্তবান ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর উদ্যোগ নিয়ে সব শ্রেণির রোজাদারদের জন্য ইফতারের আয়োজন করতে পারে।
এমএএইচ/জেআইএম