জাতীয়

ঢাকায় বায়ু-শব্দদূষণ রোধে অভিযানে নামছেন ২৫ ম্যাজিস্ট্রেট

ঢাকায় বায়ুদূষণ ও শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণসহ পরিবেশ সংরক্ষণ অভিযান জোরদার করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বুধবার (৫ এপ্রিল) থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত বিশেষ ক্ষমতাপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় প্রণীত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী এ অভিযান চালানো হবে।

Advertisement

দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ও পরিবেশ অধিদপ্তরে মাত্র তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকায় মন্ত্রণালয়ের অনুরোধে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করে। এরপর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে তাদের সংযুক্ত করে এ বিশেষ অভিযানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুসারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত ওরিয়েন্টেশন সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ) মো. মিজানুর রহমান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবদুল হামিদ, পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অধিশাখার যুগ্ম-সচিব শামিমা বেগম উপস্থিত ছিলেন। ক্ষমতাপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ছাড়াও এ সময় ঢাকা জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং দপ্তরের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ বলেন, পরিবেশের সুরক্ষা করা এখন সবার সাংবিধানিক দায়িত্ব। এটি প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগের একটি। অতিরিক্ত দূষণ ও স্বাস্থ্যগত কারণে জিডিপির প্রায় ২ শতাংশের সমপরিমাণ উৎপাদন ক্ষমতা হারায় দেশ। তাই স্মার্ট বাংলাদেশ ও জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন এবং জনগণকে একটি নির্মল ও বাসযোগ্য পরিবেশ উপহার দিতে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে।

তিনি এ সময় সব ধরনের অনুরাগ ও বিরাগের ঊর্ধে উঠে সম্পূর্ণ পেশাদারিত্বের সঙ্গে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশনা দেনন। পরিবেশ সচিব বলেন, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় এ বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। পেশাগত জীবন ছাড়াও ব্যক্তিজীবনেও আমাদের সবাইকে পরিবেশ সংবেদনশীল হতে হবে।

সভায় জানানো হয়, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট শাখার পরিচালক মোহাম্মাদ মাসুদ হাসান পাটোয়ারী এবং মন্ত্রণালয়ের পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ-২ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব নাজমা আশরাফী বিশেষ এ অভিযান সমন্বয়ে ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করবেন।

অনিবার্য কারণবশত প্রয়োজন হলে পরিবেশ অধিদপ্তরের সম্মতি সাপেক্ষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের মোবাইল কোর্টের তারিখ ও স্থান সমন্বয় করে নিতে পারবেন। পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, ময়মনসিংহ অঞ্চলের কর্মকর্তারাও অনুরূপ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে কাজ করবেন।

Advertisement

আইএইচআর/এএএইচ/এমএস