রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন থেকে নিরাপদে বের করে আনা দোকানের মালামাল বাইরে রাখার পরে সেগুলো চুরির অভিযোগ করেছেন কয়েকজন ব্যবসায়ী।
Advertisement
অনেকেই আবার বলছেন, উদ্ধারের সময়ও তাদের মালামাল খোয়া গেছে। সবার মালামাল একই ধরনের বস্তায় ভরে রাখার কারণে কেউ কেউ কৌশলে অন্যের মালপত্র হাতিয়ে নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেঁচে যাওয়া শেষ সম্বলটুকু উদ্ধারের চেষ্টায় ব্যবসায়ীরা
মায়ের দোয়া নামের কাপড়ের দোকানের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম জানান, মহানগর শপিং কমপ্লেক্সে তার দোকান। আগুন লাগার পর তিনি মালামালগুলো বস্তায় ভরে রাস্তায় এনে রেখেছিলেন। সেখান থেকে কয়েক বস্তা মাল চুরি হয়েছে।
Advertisement
আনোয়ার হোসেনের দোকান এনেক্স ভবনে। এই ব্যবসায়ী বলেন, ভবনের চারতলায় তার গোডাউনের কিছু মালামাল খোয়া গেছে। আবার নিচতলায় মালামাল উদ্ধারের সময় কয়েক বস্তা মালামাল অন্য কেউ নিয়ে গেছেন।
তিনি বলেন, সবার মালের বস্তা বা গাট একই রঙের। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে কেউ কেউ কৌশলে অন্যের মালপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ‘এখন মাল নিমু কই, জানি না’
বর্তমানে ঘটনাস্থলের চারপাশে বিভিন্ন রাস্তা ও স্থাপনার মধ্যে শত শত দোকানের মালামাল রাখা আছে। সবাই নিজ নিজ মালামাল পাহারা দিচ্ছেন। তারপরও প্রচুর মালামালের মধ্যে কারও কারও মালামাল চুরি হচ্ছে।
Advertisement
এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সকাল ৬টা ১২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাদের সহযোগিতায় সকাল থেকেই কাজ করেন সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছেন পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা।
আরও পড়ুন: জীবনের ঝুঁকি নিয়েও মালামাল রক্ষা হলো না
প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা জ্বলে, কয়েকটি মার্কেটের কয়েকশ দোকান পুড়ে অবশেষে নিয়ন্ত্রণে এসেছে বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শেষ পর্যন্ত সেখানে দায়িত্ব পালন করে ফায়ার সার্ভিসের ৪৮টি ইউনিট।
এনএইচ/কেএসআর/এমএস