বঙ্গবাজারে আগুন লাগার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই নিজের দোকানের মালামাল বের করে ফেলেছিলেন লামিয়া ফ্যাশনের কর্ণধার জনি ও তার কর্মচারীরা। বের করে সেগুলো রাখেন মার্কেটের সামনের রাস্তায়। এর মধ্যেই টিনের মার্কেট পুড়ে তাদের মালামালের ওপরই পড়ে। ফলে পুড়ে যায় প্রথম দফায় উদ্ধার করা আট লাখ টাকার কাপড়।
Advertisement
ভুক্তভোগী জনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চেষ্টা করেও মালামালগুলো রক্ষা করতে পারলাম না। তখন যদি মালামাল রাস্তায় না রেখে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিতে পারতাম, তাহলে পুড়তো না। তবে মানুষের হুড়োহুড়ি ও মালামালের অনেক স্তূপ হয়ে যাওয়ায় নিজেরগুলো সরিয়ে নিতে পারিনি।’
তিনি বলেন, ‘মার্কেট পুড়ে মালের ওপর পড়লো, আর চোখের সামনে সেগুলো পুড়ে ছাই হয়ে গেলো। দাউ দাউ করে ধরে যাওয়া আগুনের মধ্য থেকে এক বস্তা মালও শেষ সময়ে সরাতে পারিনি। তাপ আর ধোঁয়ার কারণে এক মিনিট টেকা যাচ্ছিল না।’
এ ব্যবসায়ী বলেন, ‘বঙ্গ মার্কেটের সব দোকান পুড়ে গেছে। প্রথমে এ মার্কেটে আগুন লাগায় অধিকাংশ ব্যবসায়ী কোনো মালামাল বের করতে পারেননি। সবাই নিঃস্ব হয়ে গেছেন। নিচতলায় দোকান করতেন যারা, তাদের গোডাউন ছিল উপরে। তাদেরও সব শেষ।’
Advertisement
এর আগে এদিন ভোর ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক জাগো নিউজকে আগুন লাগার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, ভোর ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৬টা ১২ মিনিটে। পর্যায়ক্রমে একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৫০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়।
এদিকে বঙ্গবাজারের আগুন ছড়িয়ে পড়ে মহানগর শপিং কমপ্লেক্সে। সেই আগুনে পুড়েছে হেড কোয়ার্টারের ভেতরের চারতলা পুলিশ ব্যারাক ভবন।
সেসময় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) বিপ্লব কুমার জানান, পুলিশ হেড কোয়ার্টারের ভেতর পুলিশ ব্যারাকের চারতলা ভবনে আগুন লেগেছে। এতে ওই ভবনের সবকটি কক্ষ পুড়ে গেছে। ১১টা ১৫ মিনিটে জলকামান এসেছে। ফায়ার সার্ভিস পানি দিচ্ছে। ভবনটি মহানগর শপিং কমপ্লেক্স লাগোয়া।
Advertisement
পরে প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা জ্বলে, কয়েকটি মার্কেটের কয়েকশ দোকান পুড়িয়ে অবশেষে নিয়ন্ত্রণে আসে বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন।
এনএইচ/ইএ/এএসএম