রাজধানীর ইসলামিয়া মার্কেটের গার্মেন্টসের দোকান মা-বাবার দোয়া। ওই মার্কেটে আগুন লেগেছে, তবে সব দোকানের মালামালের ক্ষতি হয়নি। তবে কার দোকান পুড়েছে বা কার কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেসব তথ্য এখনও জানা যাচ্ছে না। সেকারণে বাইরে বসে আছেন দুশ্চিন্তাগ্রস্ত দোকান মালিক মো. হান্নান।
Advertisement
আরও পড়ুন>সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, দোকান পুড়েছে কি না সেটা না দেখা পযন্ত শান্তি নাই। নিচতলায় ৩০ থেকে ৩৫ টা দোকান পুড়ে গেছে ইসলামিয়া মার্কেটের। সেখানেই দোকান তার। এখনও ভেতরে যাওয়া যাচ্ছে না। কি ক্ষতি হয়েছে তাও বোঝার উপায় নেই।
তিনি বলেন, ‘চোখে সামনে পুড়ে গেছে সবকিছু। এ কষ্ট সহ্য করতে পারছি না।’
Advertisement
আরও পড়ুন>যে ৩ কারণে আগুন নেভাতে দেরি
এ সময় তিনি আরও জানান ‘গোডাউন ছিলো পেছনে। সেখান থেকে কিছু মাল বের করেছি। কিন্তু দোকানের কোন মাল বের করা যায়নি।’
ওই মার্কেটে যাদের দোকান ছিল তাদের অনেকেই জানান, ইসলামিয়ার দরবারে মোগল হোটেল ও মসজিদের আশেপাশে ৩০ থেকে ৩৫ এর বেশি দোকান পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন>বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের সার্বিক খোঁজখবর রাখছেন প্রধানমন্ত্রী
Advertisement
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সকাল ৬টা ১২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তাদের সহযোগিতায় সকাল থেকেই কাজ করেন সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত রয়েছেন পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা।
প্রায় সাড়ে ৬ ঘণ্টা পর বঙ্গবাজার মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর মাঝে কয়েকটি মার্কেটের কয়েকশ দোকান পুড়ে গেছে।
এনএইচ/এসএনআর/জিকেএস