৩ উইকেটে ১২২। সেখান থেকে ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৪। অর্থ্যাৎ ১২২ থেকে ১২৪- এই ২ রানে ৩টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে আয়ারল্যান্ড। সৌজন্যে তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণি বোলিং।
Advertisement
৪৮ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর ধুঁকতে থাকা আয়ারল্যান্ডকে টেনে তোলার চেষ্টা শুরু করেন দুই অভিষিক্ত হ্যারি টেক্টর এবং কার্টিস ক্যাম্ফার। দু’জন মিলে গড়ে তোলেন ৮৪ রানের অনবদ্য জুটি।
মনে হচ্ছিল, বেশ ভালোভাবেই ঘুরে দাঁড়িয়েছে আইরিশরা। কিন্তু দ্বিতীয় সেশন শেষ হওয়ার খানিক আগেই সফরকারীদের সর্বনাশ ডেকে আনার কাজটি করেন দুই স্পিনার তাইজুল ইসলাম এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।
অভিষেকেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে ফেলা হ্যারি টেক্টরকে সরাসরি বোল্ড করে প্রথমে সাজঘরের পথ দেখান। ৯২ বল খেলে ৫০ রান করে বিদায় নেন টেক্টর। দলীয় রান তখন ১২২। এরপরই ১২৩ রানের মাথায় তাইজুল ইসলামের বলে তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান পিটার মুর।
Advertisement
১২৪ রানের মাথায় ৩৪ রান করা কার্টিস ক্যাম্ফারকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে আউট করেন তাইজুল ইসলাম। এ রিপোর্ট লেখার সময় আয়ারল্যান্ডের রান ৬ উইকেট হারিয়ে ১২৭। ২ রানে লরকান টাকার এবং ১ রানে ব্যাট করছেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ধুঁকতে শুরু করে আয়ারল্যান্ড। অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নি চেষ্টা করেছিলেন বিপর্যয় কাটানোর; কিন্তু তাইজুল ইসলামের স্পিন ঘূর্ণিতে ধরাশায়ী হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনিও। ৫০ বলে ১৬ রান করে আউট হন তিনি।
এই ৩ উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় আয়ারল্যান্ড। টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর শুরু থেকেই বাংলাদেশের পেসারদের তোপের মুখে পড়েছে আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল। বিশেষ করে দুই পেসার শরিফুল ইসলাম এবং এবাদত হোসেনের।
এই দুই পেসারের আগুনে বোলিংয়ের মুখে শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড। ম্যাচের ৫ম ওভারেই দলীয় ১১ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। ১০ বলে ৫ রান করে শরিফুলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান মারে কমিন্স।
অন্য ওপেনার জেমস ম্যাককলাম অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নিকে নিয়ে জুটি বাধার চেষ্টা করেন। দলীয় ২৭ রানের মাথায় আউট হয়ে যান জেমস ম্যাককলামও। এবাদত হোসেনের বলে সেকেন্ড স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। তার আগে করেন ৩৪ বলে ১৫ রান।
Advertisement
আইএইচএস/