জাতীয়

দুই দোকান পুড়ে ছাই, গোডাউনের মাল নিয়ে রাস্তায় হাসান

রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গেছে শতশত দোকান। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদকে সামনে রেখে নতুন মালামাল দিয়ে দোকান সাজিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ এক আগুনেই সব পুড়ে শেষ হয়ে গেলো তাদের।

Advertisement

মো. হাসানের দুটি দোকানে নতুন পুরাতন মিলে অর্ধকোটি টাকার মালামাল ছিল। দোকানের নাম ম্যাচিং সেন্টার। পাশেই বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেটে ছিল তার মালামালের গোডাউন। সেখানেও আগুন লাগতে পারে ভেবে মালামাল সরিয়ে জুডিসিয়াল মাজিস্ট্রেট সার্ভিস কমিশন অফিসের সামনে মালামাল নিয়ে বসে আছেন তিনি।

আরও পড়ুন: পুলিশ হেড কোয়ার্টারের ভেতরে আগুন

হাসান জাগো নিউজকে বলেন, বঙ্গবাজারের দুটি দোকান ছিল, পুরো মার্কেটের সঙ্গে সব পুড়ে ছাই। ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকার মাল ছিল দোকানগুলোতে। মেয়েদের ওয়ান পিস, টু-পিসের দোকান ছিল। ঈদ উপলক্ষে নতুন মাল উঠানো হইছে। পুরো মার্কেটেই নতুন মালে ভরা ছিল। সব পুড়ে শেষ হয়ে গেছে ব্যবসায়ীদের।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, পাশেই ফায়ার সার্ভিসের অফিস থাকলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ডেকে পাওয়া যায়নি তাদের। পরে ব্যবসায়ীদের ঝামেলার পর তারা আগুন নেভাতে আসে।

মো. হাসানের মতো অন্যান্য ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল পাশের মার্কেটের গুদাম থেকে সরিয়ে নিচ্ছেন। পাশে আগুন লাগলে যেন নতুন সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে বাঁচানো যায় সেজন্যই এই মালামালগুলো সরিয়ে নিচ্ছেন বলে জানান তারা।

আরও পড়ুন: আগুনের তীব্রতা বাড়ছেই, নিয়ন্ত্রণে ৫০ ইউনিট

আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ৫০টি ইউনিট কাজ করছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনা ও বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল, নৌবাহিনীর সম্মিলিত দল ও একটি হেলিকপ্টার।

Advertisement

আজ সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

ভয়াবহ আগুনে বঙ্গবাজারের বহু দোকান একেবারে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা, বলছেন পুরো বাজারটিই এক রকম শেষ হয়ে গেছে। ঘটনাস্থলে ব্যবসায়ীদের ছোটাছুটি ও কান্নাকাটি করতে দেখা গেছে।

এএএম/এমআরএম/জেআইএম