মঙ্গলবার ভোরে লাগা আগুনে রাজধানীর বঙ্গবাজার পুড়ে ছাঁই হয়ে গেছে। হাজার হাজার দোকানদার সহায় সম্বল হারিয়ে নিঃস্ব প্রায়। তাদের একজন মো. বিল্লাল হোসেন। তার তিনটি দোকান ছিল। তিনটি দোকানের সামান্য কিছু মাল ছাড়া কিছুই বাঁচাতে পারেননি আগুনের হাত থেকে।
Advertisement
পুড়ে যাওয়া দোকানের সামনেই দাঁড়িয়ে ছিলেন বিল্লাল হোসেন। সব হারিয়ে মাঝে মাঝে কষ্টের তীব্রতায় কেঁদে কেঁদে উঠছিলেন।
বিল্লাল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আগুন লাগার খবর পেয়ে এসে দেখি উপরের দোকান পুড়ে শেষ। নিচ থেকে কিছু মালামাল সরিয়েছিলাম। আরও যখন সরাতে গেছি আগুনের হলকা লাগলো আমার গায়ে। মনে হলো সম্পদের চেয়ে জীবন বড়। তাই আর ঝুঁকি না নিয়ে ফিরে এলাম। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চোখের সামনে সব পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে দেখলাম।
ঈদ উপলক্ষে আমি আমার দোকানে ৪৫ লাখ টাকার মালামাল ঢুকিয়েছি। গত ৯ মার্চ আমি ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। করোনার কারণে আমরা শেষ হয়ে গিয়েছিলাম। তাই চিন্তা করছি ব্যাংক লোন নিয়ে ঈদকে সামনে রেখে আমরা ঘুরে দাঁড়াবো। রাত দশটা এগারোটা পর্যন্ত বেচাবিক্রি করার সুযোগ পেয়েছি।’
Advertisement
‘তিন দোকান মিলে আমার ৮০ লাখ টাকার মালামাল ছাই হয়ে গেছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি।’ বলতে বলতে বিল্লালের চোখ ফের ছলছল করছে। তিনি বলেন, ‘আমার পাশের দোকানদার ইয়াসিনের দোকানে ৯ লাখ টাকা ক্যাশ ছিল সেটাও সে সরাতে পারেনি।’
এর আগে মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাফি আল ফারুক জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৫০টি ইউনিট। পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনা ও বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল, নৌবাহিনীর সম্মিলিত দল ও একটি হেলিকপ্টার আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
আরএমএম/এমএএইচ/জেআইএম
Advertisement