গতকালও দুই লাখ টাকার মাল বিক্রি করেছেন নাঈম। দোকানে ৩০ লাখ টাকার মাল রয়েছে। ক্যাশে ৭০ হাজার টাকা ছিল। কিন্তু আজ ভোরে তার সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। টাকা-মালামাল কিছুই পাওয়া যায়নি।
Advertisement
কথা হয় রাশিদুল হক নাঈমের সঙ্গে। তিনি দুষছেন ফায়ার সার্ভিসকে। জাগো নিউজকে তিনি বলেন, মাত্র ৫০ গজ দূরে ফায়ার সার্ভিসের হেড অফিস অথচ তারা সময় মতো আসতে পারেননি। তাদের পদক্ষেপ থাকলে আগুন নেভানো সম্ভব ছিল।
তিনি বলেন, মার্কেট নিয়ে উচ্চ আদালতে রিট আছে। এখানে কোন ষড়যন্ত্রকারীরা কাজ করে থাকতে পারে। আমরা লাখপতি থেকে পথে বসেছি, শূন্যে চলে এসেছি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সাহায্য চায়, কীভাবে আমাদের আনার পুনর্বাসন করা যায়...।
আরেক ব্যবসায়ী জানান, আমার বাবা ব্যবসা করেছে, এখন আমি করছি। কোনো সমস্যা হয়নি। আজ কেন এ সমস্যা দেখা দিল। কেন ফায়ার সার্ভিসের দেরি হলো আসতে। সব কিছু দেখতে হবে, আমরা দাবি জানায় সরকারের কাছে, গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১০ মিনিটে রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ আগুন লাগে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ৫০টি ইউনিট কাজ করছে। এটি ছড়িয়ে পরে এনেক্সকো টাওয়ার ও মহানগর মার্কেটে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, সকাল ৬টা ১০ মিনিটে বঙ্গবাজার মার্কেটে আগুন লাগার খবর পাওয়া যায়। সংবাদ পাওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ৬টা ১২ মিনিটে। পর্যায়ক্রমে একের পর এক ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪৭টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে। হেলিকপ্টারে আগুন নেভানোর কাজ করছে সেনাবাহিনী, যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট।
ইএআর/জেএইচ/জিকেএস
Advertisement