আলমগীর বাংলাদেশের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। পাশাপাশি তিনি একজন পরিচালক, প্রযোজক, উপস্থাপক এবং গায়ক। আশি ও নব্বইয়ের দশকে দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন। পারিবারিক টানাপোড়েন, সামাজিক অ্যাকশন, রোমান্টিক অ্যাকশন, ফোক ফ্যান্টাসিসহ সব ধরনের চলচ্চিত্রে তিনি ছিলেন সফল। অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজক, গায়ক ও পরিচালক হিসেবে সুনাম কুড়িয়েছেন।
Advertisement
১৯৫০ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা কলিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে দুদু মিয়া ঢালিউডের প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মুখ ও মুখোশ-এর একজন অন্যতম প্রযোজক।
আলমগীরের চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় ১৯৭৩ সালে আমার জন্মভূমি দিয়ে। জিঞ্জীর (১৯৭৮) চলচ্চিত্রে রাজ্জাক ও সোহেল রানার সাথে অভিনয় করে তিনি পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৮৫ সালে নিষ্পাপ চলচ্চিত্র দিয়ে তার পরিচালনায় অভিষেক হয়। আলমগীর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র আলমগীর কুমকুম পরিচালিত যুদ্ধভিত্তিক আমার জন্মভূমি ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায়।
জনপ্রিয় সিনেমামা ও ছেলে, অপেক্ষা, ক্ষতিপূরণ, মরণের পরে, পিতা মাতা সন্তান, অন্ধ বিশ্বাস, দেশপ্রেমিক, জীবন মরণের সাথী, কে আপন কে পর, ভাত দে,সখিনার যুদ্ধ, রাঙা ভাবী, দোলনা, অচেনা, সান্ত্বনা, ক্ষমা, অজান্তে, মায়ের অধিকার, সত্যের মৃত্যু নাই, মাটির ঠিকানা, গুন্ডা, মাটির মায়া, শাপমুক্তি, জাল থেকে জ্বালা, মনিহার, হীরা, মমতা, মনের মানুষ, রাতের কলি, লুকোচুরি, মধুমিতা,হারানো মানিক, মেহেরবানু , সাম্পানওয়ালা, কসাই, লুটেরা, চম্পাচামেলী, ওস্তাদ সাগরেদ, দেনা পাওনা ইত্যাদি।
Advertisement
তিনি কণ্ঠশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে গান গেয়েছেন। আগুনের আলো চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম কণ্ঠ দেন। এরপর তিনি কার পাপে, ঝুমকা ও নির্দোষ চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছেন। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা ও শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে ৯ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়াও ফজলুল হক স্মৃতি পুরস্কার, টেলিসিনে অ্যাওয়ার্ড-আজীবন সম্মাননা।
কেএসকে/জেআইএম