ফিনল্যান্ডে এতদিন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটরা শাসক দল ছিল। মাত্র ৩৪ বছরে প্রধানমন্ত্রী হয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সান্না মারিন। কিন্তু দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা হলো না তার। সোমবার (৩ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত ফিনল্যান্ডের ভোটের যে ফলাফল মিলেছে, তাতে সান্নার দল তৃতীয় স্থানে রয়েছে।
Advertisement
তবে বিজয়ী দলের সঙ্গে তাদের ভোটের তফাত খুব বেশি নয়। সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে সেন্টার রাইট ন্যাশনাল কোয়ালিশন। দ্বিতীয় স্থানে ডানপন্থি ফিনস পার্টি। ন্যাশনাল কোয়ালিশন পেয়েছে ২০ দশমিক আট শতাংশ ভোট। সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটেরা পেয়েছে ১৯ দশমিক নয় শতাংশ ভোট। আর দ্বিতীয় স্থানে থাকা ফিনস পার্টি পেয়েছে ২০ দশমিক এক শতাংশ ভোট।
আরও পড়ুন>টর্নেডোতে লন্ডভন্ড যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অঙ্গরাজ্য, মৃত বেড়ে ৩২
তবে কোনো দলই সেই অর্থে সরকার গঠনের জায়গায় পৌঁছাতে পারেনি। ফিনল্যান্ডে উপস্থিত ডিডাব্লিউয়ের প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে জোট করে সরকার গঠন করতে পারে ন্যাশনাল কোয়ালিশন। কিন্তু ভোটের আগে একাধিক বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছিল। সেই বিষয়গুলোকে সামনে রেখেই ভোট হয়েছে। ফলে ভোটের পর এই দুই দলের পক্ষে জোটতৈরি করে সরকার গঠন করা মুশকিল।
Advertisement
তবে অপেক্ষাকৃত কম ভোট পাওয়া আরও বেশ কয়েকটি ছোট ছোট দলকে সঙ্গে নিয়ে সরকার গঠন করতে পারে ন্যাশনাল কোয়ালিশন। যদিও তাদের পক্ষ থেকে এখনো তেমন কোনো ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন>ফের তেলের উৎপাদন কমানোর ঘোষণা ওপেকের, বাড়ছে দাম
শাসক দলের প্রধানমন্ত্রী অবশ্য হার স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। তিনি হার মেনে নিচ্ছেন। মূলত তার হাত ধরেই ফিনল্যান্ড ন্যাটোয় যোগ দিতে চলেছে।
রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর ফিনল্যান্ডের আইনসভা ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নেয়। ৩০ সদস্যের ন্যাটোয় ফিনল্যান্ডের সঙ্গে সুইডেনও যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে। ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রাশিয়ার প্রায় তেরশ কিলোমিটার সীমান্ত। সে কারণেই তারা এত মরিয়া হয়ে উঠেছে। সুইডেন এখনো সব দেশের থেকে সবুজ সংকেত না পেলেও সম্প্রতি তুরস্কের ভোট পেয়ে ফিনল্যান্ড এখন ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার জন্য তৈরি।
Advertisement
এর আগে মাত্র ৩৪ বছর বয়সে রেকর্ড তৈরি করে ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন সান্না মারিন। এবছর দ্বিতীয় দফায় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য লড়ছিলেন তিনি। প্রচারে একাধিকবার ন্যাটোর প্রসঙ্গ তুলেছেন তিনি। কিন্তু শেষপর্যন্ত তার ন্যাটো প্রস্তাব ফিনল্যান্ডের মানুষের ওপর ততটা প্রভাব ফেলেনি বলেই মনে করা হচ্ছে।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে, আল-জাজিরা
এমএসএম