রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার ও শিক্ষক প্রতিনিধি ড. ফারহানা খনমের বিরুদ্ধে আর্থিক ও নিয়োগসহ নানা ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে।
Advertisement
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনায় বলা হয়, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহার এবং শিক্ষা প্রতিনিধি ড. ফারহানা খানমের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যহার ও ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে ভর্তি বাণিজ্য, শিফট পরিবর্তন, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রলয়কে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে অর্থাৎ পরবর্তী এক মাসের মধ্যে সেই প্রতিবেদন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।
Advertisement
এ বিষয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ কামরুন নাহারের কাছে জানতে চাইলে রোববার জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিষ্ঠানে আমার নেতৃত্বে অনেক অনিয়াম বন্ধ হয়েছে। ভর্তি-বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। বর্তমানে আমার চাকরির মেয়াদ শেষের দিকে। গভর্নিংবডি আমাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিতে চাচ্ছে। সেটি বন্ধ করতে আমার পেছনে একটি মহল ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
তিনি বলেন, আমার মেয়াদ শেষে নতুন করে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়ার কোনো আগ্রহ নেই। অথচ যেসব অনিয়ম-দুর্নীতি আমি এসে বন্ধ করেছি সেসব বিষয়ে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
তবে অধ্যক্ষের পেছনে যারা ষড়যন্ত্র করছে সেই মহল শিক্ষক প্রতিনিধি ড. ফারহানা খানমের ক্ষতি করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন এ শিক্ষক। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, অভিভাবদের কেউ কেউ মনে করেন, আমার জোরে অধ্যক্ষ প্রতিষ্ঠানে টিকে রয়েছেন। আদালতে মামলা করে হেরে গিয়ে এখন বিভিন্ন মহলে অভিযোগ দিচ্ছে। তার প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন হচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
এমএইচএম/এমআইএইচএস/জিকেএস
Advertisement