আন্তর্জাতিক

বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কের পর্নো ছবি দেখা নিয়ে তুলকালাম

ত্রিপুরা প্রতিনিধি:

Advertisement

ভারতের ত্রিপুরার বিধানসভায় অধিবেশন চলাকালীন পর্নো ছবি দেখার অভিযোগ উঠেছে এক বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রাজ্যটির রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে। শাসক বিজেপির ওই বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথের পদত্যাগও করা উচিত বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

এরই মধ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দল তিপ্রা মথা এ ব্যাপারে আন্দোলনে নামারও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে। সিপিআইএম'র বক্তব্য হলো শাসক বিজেপি নিজেদেরকে সংস্কৃতির ধারক ও বাহক বলে মনে করে। এটা যদি ধরেই নেওয়া যায় তবে তারা ওই বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দেরি করছে কেনো?

কংগ্রেসের বক্তব্য বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিনে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই আহ্বান জানিয়েছিলেন, বিধানসভার গরিমাকে যেন ঠিক রাখা হয়। কিন্তু অধিবেশনের শেষ দিন তার দলেরই বিধায়ক বিধানসভায় বসে পর্নোগ্রাফি দেখেছেন!

Advertisement

৫৫ বাগবাসা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ প্রথমবারের মতো জয়ী হয়েছেন এ বছর। তিনি এমন কাণ্ডের মাধ্যমে কলঙ্কিত করে ছাড়লেন রাজ্য বিধানসভাকে।

তার এই পর্নোগ্রাফি দেখার ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর প্রথমেই প্রশ্ন তুলে বিরোধীদল তিপ্রা মথা। এর ঠিক পরই সুর চড়ায় কংগ্রেস এবং সিপিআইএমও। বিরোধী দলনেতা অনিমেষ দেববর্মা বলেন, রাজ্যে একের পর এক ধর্ষণের মতো ঘটনা বেড়েই চলেছে। এই অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী কিংবা রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ যদি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন, তবে কি তার এই ভিডিওটি অতি উৎসাহী করে তুলবে না সাধারণ জনগণকে?

কিংবা এ ধরনের ঘটনায় কী কালিমালিপ্ত হবে না দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ? প্রশ্ন বিরোধী দলনেতার।

ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটি নিয়ে এরই মধ্যে দেশটির (ভারতের) বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ফালাও করা সংবাদ প্রকাশিত করছে। অনেক ক্ষেত্রে আবার অভিযুক্ত শাসক বিজেপির সেই বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ এর প্রতিক্রিয়াও তুলে ধরছেন।

Advertisement

তবে প্রতিটি প্রতিক্রিয়াতেই সাফাই গাওয়ার চেষ্টা করেছেন বিধায়ক যাদব লাল দেবনাথ। তিনি বলেছেন, ভিডিওটি তার মোবাইলে আসা মাত্রই এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে অনভিজ্ঞতার কারণে কোনো অবস্থাতেই এড়িয়ে যেতে পারছিলেন না। সম্প্রতি তার এই বক্তব্য নিয়েও বিশ্লেষণও চলছে বিভিন্ন মহলে। অনেকেই আবার হাসিঠাট্টা করে তাকে উড়িয়ে দিয়ে পার পাওয়ার রাস্তা খুঁজছেন বলেও মনে করছেন। কারণ যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তাতে কোনো অবস্থাতেই সেই ভিডিওটিকে তিনি এড়িয়ে যেতে চাইছেন বলে মনে হয়নি।

এমএসএম