মানিকগঞ্জের ঘিওরে দুই বছরেও চালু হয়নি বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) একটি সোলার সেচ পাম্প। এ প্রকল্পে ২০ লাখেরও বেশি টাকা খরচ হয়েছে। তবে কৃষকদের কোনো কাজেই আসছে না এ সোলার সেচ পাম্প। বিএডিসির দাবি, সেচ পাম্প পরিচালনা কমিটির গাফিলতির কারণে সময়মতো এটি চালু করা যায়নি।
Advertisement
ঘিওর উপজেলা সদরের চর ঘিওর এলাকায় ধলেশ্বরী নদীর কূলঘেঁষে সেচ পাম্পটি স্থাপন করে বিএডিসি। ২০২১-২২ অর্থবছরে বৃহত্তর ঢাকা জেলা সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের ধান ও রবিশস্য আবাদের সুবিধার্থে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়। কিন্তু দুই বছরেও এটি চালু না হওয়ায় কৃষকরা সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ৯ মাস ধরে বিদ্যুৎবিহীন চার গ্রামবাসী
সরেজমিন দেখা গেছে, সেচঘর, সোলার প্যানেল এবং ড্রেনেজ সিস্টেমসহ প্রকল্পের যাবতীয় কাজ শেষ হয়েছে। তারপরও সেচ ঘরে তালা ঝুলছে। পাশেই ধানক্ষেতে আগাছা পরিষ্কারের কাজ করছেন কয়েকজন কৃষক। বিদ্যুৎ ও ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিন দিয়ে বোরো ক্ষেতে সেচ দেওয়া হচ্ছে।
Advertisement
প্রকল্পের বিষয়ে জানতে চাইলে কয়েকজন কৃষক জাগো নিউজকে বলেন, সুলভ মূল্যে সেচ সুবিধা দেওয়া হবে এমন আশ্বাসে বিএডিসির লোকজন ইচ্ছামতো সেচ পাম্প স্থাপন করেছেন। এরপর দুই বছর পার হলেও তাদের দেখা পাওয়া যায়নি। পরে বাধ্য হয়ে ডিজেল ও বিদ্যুৎচালিত শ্যালো মেশিন দিয়েই জমিতে সেচ দিচ্ছেন তারা।
কৃষক মান্নান, রহমান ও মুজাফ্ফর বলেন, ‘দুই বছরেও এটি চালু না হওয়ায় আমরা কোনো সুবিধাই পাচ্ছি না। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কেউ এসে বলেনও না এটি কবে চালু হবে।’
আরও পড়ুন: কমছে দুধের দাম, পথে বসছেন খামারিরা
বিএডিসির এ সেচ প্রকল্পের পরিচালনা কমিটির সভাপতি আনোয়ারুল হক। কমিটিতে আছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অহিদুর রহমান টুটুল। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাগজে-কলমে কমিটি থাকলেও তাদের কোনো কার্যক্রম নেই। কবে নাগাদ সেচ পাম্পটি চালু হবে তা কেউ জানাতে পারেননি। তাদের অভিযোগ, বিএডিসি এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
Advertisement
এ বিষয়ে বিএডিসি মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সেচ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. তিতাস বলেন, ইঞ্জিন ত্রুটির কারণে পাম্পটি চালু করা যাচ্ছে না। তবে ত্রুটি মেরামতের কাজ চলছে। আশা করি দু-একদিনের মধ্যেই পাম্পটি চালু করা যাবে।
ঘিওর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হামিদুর রহমান বলেন, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সোলার সেচ পাম্পটি চালুর ব্যবস্থা করা হবে।
বি.এম খোরশেদ/এসআর/জিকেএস