আইন-আদালত

হজ প্যাকেজ কেন জনস্বার্থ পরিপন্থি নয়: হাইকোর্ট

সরকার ঘোষিত হজ প্যাকেজকে (হজ প্যাকেজ ২০২৩) জনস্বার্থ পরিপন্থি কেন ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

রোববার (২ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী গাজী মোহাম্মদ মহসিন। তার সঙ্গে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী আশরাফ-উজ-জামান। এছাড়া সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট আজিম উদ্দিন পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ সাইদুর রহমান, অ্যাডভোকেট ইয়াছিন আলফাজ, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

আরও পড়ুন: হজ ফ্লাইট শুরু ২১ মে, বিমানের ১৬০ ফ্লাইট

Advertisement

আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আওলাদ হোসেন।

এর আগে ১২ মার্চ হজের প্যাকেজ কমিয়ে পুনরায় প্যাকেজ ঘোষণা করতে রিট করা হয়। রিটে বাংলাদেশ বিমান ও সৌদি এয়ারলাইন্স ছাড়াও যে কোনো এয়ারলাইন্সে টিকিট কেটে হজে যাওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উজ-জামান জনস্বার্থে এ রিট করেন। রিটে বিবাদী করা হয় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের। ঘোষিত হজ প্যাকেজের খরচ কমিয়ে চার লাখ টাকা নির্ধারণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান আইনজীবী।

আরও পড়ুন: হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ৫ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়লো

Advertisement

১ ফেব্রুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয় এক স্মারকে ‘হজ প্যাকেজ ২০২৩’ ঘোষণা করে। তাতে হজ প্যাকেজের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ছয় লাখ ৮৩ হাজার ১৮ টাকা। সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর এ খরচ কমিয়ে চার লাখ টাকার মধ্যে পুনর্নির্ধারণ করতে অনুরোধ জানিয়ে ৬ মার্চ ধর্ম মন্ত্রণালয় বরাবর আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আশরাফ-উজ-জামান।

নোটিশে ওই স্মারক সংশোধন বা পরিবর্তন করে চার লাখ টাকার মধ্যে হজ প্যাকেজ সাতদিনের মধ্যে পুনর্নির্ধারণ করতে অনুরোধ জানানো হয়। এতে কোনো সাড়া না পেয়ে ১২ মার্চ করা হয় রিট।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৭ জুন পবিত্র হজ হতে পারে। এ উপলক্ষে গত মাসে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় হজ চুক্তি সই হয়। চুক্তি অনুযায়ী, চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন পবিত্র হজ করতে যেতে পারবেন। তাদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৫ হাজার এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১২ হাজার ১৯৮ ব্যক্তি হজে যেতে পারবেন।

এফএইচ/বিএ/জেএইচ/এমএস/জেআইএম