অন্তরঙ্গতা (শারীরিক ও মানসিক) প্রতিটি সম্পর্কের জন্য অপরিহার্য। যে দম্পতিরা সেই গভীর বন্ধনটি অনুভব করতে ও একটি সুস্থ সম্পর্ক উপভোগ করতে চায়, তারা একসঙ্গে আরও বেশি সময় কাটানোর মূল্য বোঝে।
Advertisement
জানলে অবাক হবেন, স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ঘুমালে শরীর ও মনে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৬০ শতাংশ দম্পতি একসঙ্গে ঘুমান। এর মধ্যে সব ধরনের দম্পতি আছে, বিষমকামী, সমকামী, বয়স্ক এমনকি অসুস্থ দম্পতিরাও।
আরও পড়ুন: রাত ১২-৩টা পর্যন্ত জেগে থাকা যে কারণে বিপজ্জনক
তবে বিবাহিত বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্ক, যারা তাদের সঙ্গীর সঙ্গে ঘুমান তারা আরও দীর্ঘ সময় ঘুমের সময়কাল রিপোর্ট করেছে।
Advertisement
গবেষণায় দেখা গেছে, সঙ্গীর পাশে ঘুমালে ঘুম ভালো হয়। ফলে স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা কমে ও হ্যাপি হরমোন উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে পরদিন কাজে মনোযোগ বাড়ে ও শরীরও ভালো থাকে।
আরও পড়ুন: সঙ্গীকে জড়িয়ে ধরলেই মিলবে সুস্থতা
গবেষণায় আরও দেখা গেছে, স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পাশে ঘুমালে তাদের দ্রুত ঘুমিয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। ঘুমাতে যে সময় লাগে তাকে ঘুমের লেটেন্সি বলা হয়। যারা অনিদ্রায় ভুগছেন তারা সঙ্গীর সঙ্গে একই সময় ঘুমানোর অভ্যাস করলে উপকৃত হবেন।
২০২২ সালে স্লিপ জার্নালে প্রকাশিত এক সমীক্ষা অনুসারে, সঙ্গীর পাশে ঘুমানো মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো। এক্ষেত্রে বিষণ্নতা, উদ্বেগ, চাপ, স্লিপ অ্যাপনিয়া, অনিদ্রার ঝুঁকি কমায়।
Advertisement
আরও পড়ুন: প্রিয়জনকে চুমু দিলে ভালো থাকবে হার্ট, কমবে ব্যথা
স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ও একই সময় ঘুমানোর আরও এক উপকারিতা হলো ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এক্ষেত্রে দম্পতির শারীরিক, মানসিক ও আধ্যাত্মিক সংযোগ উন্নত হয় ও সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বাড়াতে পারে। এমনকি শারীরিক ঘনিষ্ঠতাও বাড়ে।
৭৭৮ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, সঙ্গীর পাশে ঘুমানোর কারণে শারীরিক ও যৌন ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় ‘অক্সিটোসিন’ নামক হরমোনের নিঃসরণও বাড়ে। অক্সিটোসিন শুধু ভালো ঘুমাতেই নয় বরং চাপ কমায় ও দাম্পত্য সম্পর্ককে আরও গাঢ় করে।
আরও পড়ুন: স্বামী হিসেবে সেরা যে ৫ গুণের পুরুষরা
আপনার স্বাস্থ্য ও সুস্থতার জন্য রাতে পর্যাপ্ত ও গভীর ঘুম গুরুত্বপূর্ণ। ভালো ঘুম না হলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, হার্টের স্বাস্থ্য, ওজন, স্মৃতিশক্তি, শেখার ক্ষমতা কমতে শুরু করে।
সূত্র: ভেরি ওয়েল হেলথ
জেএমএস/এমএস