দেশজুড়ে

শিক্ষক সংকটে নজিপুর সরকারি কলেজে পাঠদান ব্যাহত

শিক্ষক সংকটের কারণে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর সরকারি কলেজে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। কলেজে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ৩৩টি পদের মধ্যে মাত্র ১৭জন শিক্ষক আছেন। দীর্ঘ দিন থেকে শিক্ষক সংকট থাকায় প্রশাসনিক ও পাঠদানের কার্যক্রম চরম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও সংশ্লীষ্টরা।এ বিষয়ে সমস্যা সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করা হলেও কোনো সুফল পাওয়া যায়নি।জানা গেছে, কাজী আব্দুল মজিদ নামে এক ব্যক্তি ১৯৭৩ সালে নজিপুর কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে কলেজটি সরকারি হয়। বর্তমানে এখানে উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক (পাস) ও স্নাতক (সম্মান) পর্যায়ের শিক্ষাদান করা হয়। কলেজে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। তবে এখানে শিক্ষকদের ৩৩টি পদ থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৭ জন।কলেজ সূত্রে জানা যায়, উদ্ভিদ বিজ্ঞান, ব্যবস্থাপনা, প্রাণী বিজ্ঞান, উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপনন, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয়ের ইতিহাস, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে কোনো শিক্ষক নেই। এছাড়াও বাংলা বিভাগে এক জন প্রভাষক, ইংরেজি বিভাগের দুই জন প্রভাষক, অর্থনীতি বিভাগে দুই জন প্রভাষক, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে দুই জন প্রভাষক, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিক বিভাগে এক জন প্রভাষক, দর্শন বিভাগে এক জন সহকারী অধ্যাপক, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগে এক জন প্রভাষক, ব্যবস্থাপনা বিভাগে এক জন সহকারী অধ্যপক ও এক জন প্রভাষক, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে এক জন প্রভাষক, রসায়ন বিভাগে এক জন প্রভাষক, প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগে এক জন প্রভাষক, গণিত বিভাগে এক জন প্রভাষক এবং ভূগোল বিভাগে এক জন প্রভাষকের পদ খালি আছে। এছাড়াও গ্রন্থাগারিক, শরীর চর্চা শিক্ষক, হিসাব রক্ষক ও নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক পদগুলো প্রায় ১০ বৎসর ধরে খালি পড়ে আছে। একাদশ মানবিক বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শারমিন, জেসমিন, মামুন রশিদ ও ডিগ্রি প্রথম বর্ষের ছাত্রী স্মৃতি রাণী ও রুবি আক্তার জানান, শিক্ষক না থাকার কারণে ক্লাস না হওয়ায় নিয়মিত কলেজে না এসে প্রাইভেট বা কোচিংয়ের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে তাদের।স্নাতক (পাস) কোর্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবৃত্তি, মাসুদ রানা, কাওছার আলম, সুমন বর্মণ, সাইফুল ইসলাম, জনি ইসলামসহ আরো অনেকেই জানান, শিক্ষক সংকট থাকায় মাসে ৫/৬টি ক্লাস হয়। এতে পড়াশুনার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।উপজেলার আ.লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর মিল্টন জানান, এলাকার বেশির ভাগ মানুষই দরিদ্র শ্রেণির। তাদের ছেলে মেয়েদের শহরের বাইরের কলেজের ছাত্রাবাস/হোস্টেলে রেখে পড়াশুনা করানো সম্ভব হয়ে উঠে না। এসময় কলেজের শুণ্য পদগুলোতে দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার দাবি জানান তিনি।নজিপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুর রব চৌধুরী জানান, শিক্ষক সঙ্কটের কারণে শিক্ষার কার্যক্রম চালানো ব্যহত হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। আব্বাস আলী/এফএ/এবিএস

Advertisement