তথ্যপ্রযুক্তি

মিনহাজুল আসিফের সফলতার নাম ‘কোডম্যানবিডি’

মিনহাজুল আসিফ কোডম্যানবিডির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী। এটি দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম। তাদের আছে ১০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে অনলাইনে দক্ষ করে তোলার অভিজ্ঞতা। প্রতিষ্ঠানটি বেস্ট ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে। এছাড়া মিনহাজুল আসিফ একজন আইটি উদ্যোক্তা হিসেবে জাতীয় ও বিভাগীয় পর্যায়ে অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।

Advertisement

ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পরিচিতিবর্তমান যুগ তথ্যপ্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির কল্যাণে বিশ্ব যেন এখন হাতের মুঠোয়। ঘরে বসে মানুষ এখন দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আয় করছে সহজেই। ফ্রিল্যান্সিং কিংবা আউটসোর্সিং এমনই এক ক্ষেত্রের নাম। আর দেশীয় প্রেক্ষাপটে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং সেক্টরে অন্যতম সফল ব্যক্তি হলেন মিনহাজুল আসিফ। তিনি একাধারে একজন আইটি উদ্যোক্তা, ফ্রিল্যান্সার, ওয়েব ডেভেলপার, ইথিক্যাল হ্যাকিং ও সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট।

কোডম্যানবিডি ছাড়াও মিনহাজুল আসিফের ওয়েব ব্যাটেলিয়ন নামে একটি এজেন্সি আছে। যেখানে তিনি ও তার টিম প্রতিনিয়ত দেশে ও দেশের বাইরে ক্লায়েন্টদের ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, ওয়েব ডিজাইন ও ওয়েব ডেভেলপমেন্ট সার্ভিস দিয়ে আসছেন। ওয়েব ব্যাটেলিয়ন টিম এ পর্যন্ত দেশের বাইরে প্রায় ১ হাজারেরও বেশি ক্লায়েন্টকে সার্ভিস দিয়ে দেশের জন্য রেমিট্যান্স নিয়ে এসেছে।

এছাড়াও তার প্রতিষ্ঠিত যোরা আইটি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন আইটি সল্যুশন নিয়ে কাজ করছে। বহুজাতিক ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ইউডেমিতে তার আছে ইথিক্যাল হ্যাকিং ও সাইবার সিকিউরিটির ওপর ইংরেজি কোর্স। যেখানে প্রায় ৫৭টি দেশের শিক্ষার্থী প্রতিনিয়ত শিখছেন তার কাছ থেকে।

Advertisement

ছোটবেলা ও পরিবারমিনহাজুল আসিফের জন্ম চট্টগ্রামে। তবে তিনি ঢাকায় বড় হন। পড়েছেন দেশসেরা গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাই স্কুলে। কলেজ পাস করেন ২০০৫ সালে ঢাকা কলেজ থেকে। পরে আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করেন। তিনি এমবিএ করেন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের ওপর।

আরও পড়ুন: সুবিধাবঞ্চিত নারীদের ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ বাড়াতে হবে 

তার বাবা একজন চাকরিজীবী ছিলেন। এক ভাই ও ৩ বোন বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। বেড়ে উঠেছেন মধ্যবিত্ত পরিবারে। ২০১০ সালে গ্রাজুয়েশন শেষ করে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করলেও চাকরি শুরু হয় সেলস ম্যান হিসেবে। বড় ছেলে হয়ে পরিবারের হাল ধরার জন্য যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়। পরে তিনি টেলিকম কোম্পানির ভেন্ডর কোম্পানিতে কাজ নেন। মাসে ২০ দিনে তাকে ১০-১৫টি জেলায় গিয়ে টাওয়ার কমিশনিংয়ের কাজ করতে হতো। এভাবে প্রতিকূলতা দিয়ে তার ক্যারিয়ার শুরুর ৩ বছর পর যোগ মাল্টিন্যাশনাল টেলিকম কোম্পানিতে। পড়াশোনায় তিনি যেমন ছিলেন সফল, চাকরি জীবনে ও কোনো কাজকেই ছোট করে দেখেননি।

ফ্রিল্যান্সিং শুরুমিনহাজুল আসিফ আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সাইয়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে গ্রাজুয়েশন শেষ করা এক তরুণ। স্বপ্ন দেখেছিলেন একজন উদ্যোক্তা হওয়ার। দেশ ও মানুষের জন্য কিছু করার। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে তার ক্যারিয়ার জীবন শুরু। চাকরির পাশাপাশি ২০১২ থেকে সফ্ট স্কিল ও ডিজিটাল স্কিল ডেভেলপমেন্টে মনোযোগ দেন। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও লিড জেনারেশনের কাজ শিখে তৎকালীন ওডেস্ক মার্কেটপ্লেসে (বর্তমানে আপওয়ার্ক) নিজে নিজে ফ্রিল্যান্সিং করা শুরু করেন।

Advertisement

তখন ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ শেখানোর জন্য এত অনলাইন প্রতিষ্ঠান ও রিসোর্স ছিল না। তিনি চাকরির পাশাপাশি রাত জেগে ক্লায়েন্টদের জন্য কাজ করে এক্সট্রা ইনকাম শুরু করেন। তখন ফ্রিল্যান্সিং এতটা জনপ্রিয় ছিল না। তাই একটা ভালো স্যালারির ফুল টাইম জব ছেড়ে ফুল টাইম ফ্রিল্যান্সিং করার সাহস পাচ্ছিলেন না। আস্তে আস্তে ৩ বছর এভাবে চললো। একদিন তিনি জব ছেড়ে দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ে সূম্পর্ণ মনোনিবেশ করলেন। নিজে কাজ করলেন, ফ্রিল্যান্সিং টিম গড়ে তুললেন। তার সততা ও পরিশ্রমের মাধ্যমে আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেসে টপ রেটেড ফ্রিল্যান্সার এবং ফাইভারে লেভেল ২ সেলার হিসেবে কাজ করে ১ হাজারেরও বেশি ক্লায়েন্টের অসংখ্য প্রজেক্ট সম্পন্ন করেন।

উদ্যোক্তা ও কোডম্যানবিডিফ্রিল্যান্সিং করে নিজের জীবনযাত্রার মান পরিবর্তন করে থেমে থাকেননি মিনহাজুল আসিফ। তিনি চেয়েছেন ফ্রিল্যান্সিংয়ের আলো মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে। তিনি চেয়েছিলেন, অনেকেই তার মতো ৯টা-৫টা চাকরির গণ্ডি থেকে বের হয়ে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করে স্বাবলম্বী হোক। শুরু হয় কোডম্যানবিডির স্বপ্নযাত্রা ২০১৮ সালে। তার প্রতিষ্ঠান, ডিসটেন্স লার্নিং বা অনলাইন লার্নিংকে সারাদেশে প্রতিষ্ঠিত করা ছিল কোডম্যানবিডির মূল লক্ষ্য। অর্থাৎ গতানুগতিক প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোথাও গিয়ে না শিখে দেশের যে কোনো জেলা-উপজেলা ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে যে কেউ যেন ঘরে বসে গুণগত মানের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পারে।

কোডম্যানবিডির কাজ হলো তারুণ্যকে শক্তি হিসেবে গঠন করা। তার প্রতিষ্ঠানে শেখানো হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিংয়ের কাজ। নিজেদের পছন্দমতো স্কিল ডেভেলপমেন্ট করে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ করছে কোডম্যানবিডির অসংখ্য শিক্ষার্থী। যা কি না দেশের একটা বড় সংখ্যক বেকারত্বের হার কমাতে সাহায্য করে যাচ্ছে। কোডম্যানবিডির প্রায় ২শর বেশি ব্যাচ চলমান। তার প্রতিষ্ঠানে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী দক্ষতা অর্জন করে চলছে। বর্তমানে কোডম্যানবিডিতে মিনহাজুল আসিফের অধীনে ২৫ জনের বেশি তরুণ কাজ করছেন। যারা অসংখ্য শিক্ষার্থীর দারিদ্র্য দূর করতে ভূমিকা রাখছেন এবং তৈরি করেছের ১ হাজারেরও বেশি ফ্রিল্যান্স উদ্যোক্তা।

আরও পড়ুন: ২২ বছর বয়সেই ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কোটিপতি 

মিনহাজুল আসিফ নিজে ২০১২ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১ হাজারেরও বেশি ক্লায়েন্টের অসংখ্য প্রজেক্ট সম্পন্ন করেন। এছাড়াও যেসব শিক্ষার্থী ভালো করছেন, তাদের নিয়ে মিনহাজুল আসিফ প্রতিষ্ঠা করেন ওয়েব ব্যাটালিয়ন এজেন্সি। যেখানে দেশ-বিদেশে অসংখ্য ক্লায়েন্টের সঙ্গে তার টিম কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত।

আইটি স্কিলে লার্নিংবাংলাদেশে প্রথম কোডম্যানবিডি নিয়ে আসে আইটি স্কিলে ওয়ান অন ওয়ান-লাইভ অনলাইন লার্নিং। যেখানে একজন স্টুডেন্ট যে কোনো ডিজিটাল স্কিলে দক্ষ ও ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্ট মেন্টর থেকে সরাসরি শিখতে পারবেন। গতানুগতিক নিয়মে কোনো ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেখা সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ। আবার রেকর্ডেড কোর্স দেখে সাপোর্ট ছাড়া ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে সাকসেসফুল হওয়াও কঠিন। আর অনলাইনে অনেক স্টুডেন্টের সঙ্গে লাইভ ক্লাস করে নিজের অনেক দুর্বলতার কারণে সাফল্য পাওয়াও কঠিন।

তাই ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক ডিজাইন, ইউআই ডিজাইন, সাইবার সিকিউরিটি কোর্সগুলো করে ফাইভার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ডটকম, পিপল পার আওয়ার মার্কেটপ্লেসসহ, লোকাল মার্কেটপ্লেসে সফল সবার জন্য কোডম্যানবিডি নিয়ে এসেছে ওয়ান অন ওয়ান লার্নিং। যেখানে একজন লার্নার পাবেন নিজের মতো মেন্টর বেছে নেওয়া এবং কোর্স ও টপিক কাস্টোমাইজ করার সুযোগ। এছাড়াও লাইভ ক্লাস করার কারণে লার্নার পাবেন এক্সপার্ট মেন্টর থেকে কাস্টোমাইজড ফিডব্যাক এবং সঠিক গাইডলাইন, যা একজন লার্নারকে ডিজিটাল স্কিল লার্নিংয়ে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে অনেকখানি।

বিশেষ শ্রেণির ফ্রি আইটি ট্রেনিংনারী এবং শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের জন্য আইটি এবং ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক ডিজাইন, লিড জেনারেশন, ইউআই ডিজাইন, ডাটা এন্ট্রি দক্ষ করে করে গড়ে তোলা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে কোডম্যানবিডি নিয়ে আসে ফ্রি ট্রেনিং। ৩ মাস ব্যাপী এ ট্রেনিং সেশন অনলাইনে হবে এবং অনলাইন ট্রেনিং শেষে তাদের ইনকামের জন্য ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোয় অ্যাকাউন্ট করা থেকে শুরু করে, কীভাবে কাজ পাওয়ার জন্য ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোয় অ্যাকাউন্ট করতে হয়, কীভাবে কাজে অ্যাপ্লাই করতে হয়, কীভাবে ক্লায়েন্ট হ্যান্ডেল করতে হয়, কীভাবে অর্জিত ডলার ব্যাংকের মাধ্যমে উইথড্র করতে হয়; তা শেখানো হবে। যাতে একজন প্রশিক্ষণার্থী সহজে তার অর্জিত স্কিল দিয়ে ইনকাম করে নিজে স্বাবলম্বী হতে পারেন এবং দেশের রেমিটেন্সে অবদান রাখতে পারেন।

সফল আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষকমিনহাজুল আসিফের মেন্টরিং শুধু দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ভারত, পাকিস্তান, সৌদি আরবসহ অসংখ্য দেশের শিক্ষার্থী অনলাইনে ডিসটেন্স লার্নিংয়ের মাধ্যমে তার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এছাড়াও সরকারি লার্ন অ্যান্ড আর্ন প্রোগ্রামের একজন সফল প্রশিক্ষক তিনি। ২০১৬ সালে ইউএনডিপির অধীনে তিনি অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং প্রশিক্ষণ দিয়েছেন ইরাকের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের।

আরও পড়ুন: ঘরে বসেই প্রশিক্ষণ, সেখান থেকেই কাজ বিশ্বপরিসরে 

তার ইউটিউব চ্যানেল ‘কোডম্যানবিডি’ থেকে ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং সম্পর্তিক স্কিল ডেভেলপমেন্ট করছেন প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থী। বহুজাতিক ই-লার্নিং প্লাটফর্ম ইউডেমিতে তার আছে ইথিক্যাল হ্যাকিং ও সাইবার সিকিউরিটির ওপর ইংরেজি কোর্স। যেখানে প্রায় ৫৭টি দেশের শিক্ষার্থী প্রতিনিয়ত শিখছেন তার কাছ থেকে। তার এ বহুমুখী পদচারণা তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা।

অ্যাওয়ার্ড ও প্রোগ্রামমিনহাজুল আসিফ আইটি উদ্যোক্তা হিসেবে স্বাধীনতা অ্যাওয়ার্ড, যুব উন্নয়ন অ্যাওয়ার্ড, ন্যাশনাল টেক অ্যাওয়ার্ড, বাংলাদেশ ইয়ুথ ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। সম্প্রতি তার প্রতিষ্ঠান ‘কোডম্যানবিডি’ অসংখ্য সফল ফ্রিল্যান্সার ও ফ্রিল্যান্স উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ বেস্ট ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে রাইজিং ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ২০২২ লাভ করে। প্রতিনিয়তই তিনি অনলাইন ও অফলাইন সেমিনার, ফ্রিল্যান্স কমিউনিটি মিট-আপ, টেলিভিশনের সচেতনতামূলক সেমিনার ও অনলাইন ইভেন্টে অংশগ্রহণ করছেন।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাবর্তমানে দেশের বেকারত্বের হার কমানোর উদ্দেশ্যে ও দেশের চাকরির বাজারে প্রেসার কমিয়ে তরুণদের প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল স্কিলে দক্ষ করে ফ্রিল্যান্সিং করে দেশের রেমিটেন্সে অবদানের জন্য কাজ করে যাওয়া তার মূল লক্ষ্য। দেশে আইটি উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষে ‘চাকরি করবো না, চাকরি দিবো’ স্লোগানকে সফল করার লক্ষ্য তার। তিনি এ পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার আইটি উদ্যোক্তা তৈরি করেছেন। তাদের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উদ্যোক্তা তৈরির সচেতনতা গড়ে তোলার স্বপ্ন তার। এজন্য তিনি প্রতিনিয়ত সচেতনতামূলক প্রোগ্রাম, ওয়ার্কশপ, কলেজ-ইউনিভার্সিটি বুটক্যাম্পে ডিজিটাল স্কিল শেখা ও উদ্যোক্তা করার ব্যাপারে জোর দিয়ে যাচ্ছেন।

তরুণদের জন্য পরামর্শআমরা ছোটবেলা থেকেই সাধারণত ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার চিন্তা করি। এর বাইরেও প্রায় ১০ হাজারের ওপর প্রফেশন আছে। আমাদের ছোটবেলা থেকে চিন্তা করা উচিত, আমার কোন কাজের প্রতি আগ্রহ আছে। সেই আগ্রহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ছোটবেলা থেকেই কাজ করে যাওয়া উচিত। গতানুগতিক চিন্তা-ভাবনা থেকে বের হয়ে নিজে কিছু করা উচিত, হোক সেটা ছোট কিছু দিয়ে শুরু। নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ৩টি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ। লক্ষ্য নির্ধারণ করা, লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য প্ল্যান তৈরি করা। সেই প্ল্যান অনুযায়ী নিরলস কাজ করে যাওয়া।

তবে যে কোনো লক্ষ্যের চূড়ান্ত সাফল্যে পৌঁছানো কঠিন। তাই ধৈর্য ধরতে হবে, ব্যর্থতা এলে তা থেকে শিক্ষা নিতে হবে, স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, প্রতিটা দিন আমাদের জন্য একেকটি সুযোগ। তাই প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন করতে হবে। অন্যের সমালোচনা যদি সঠিক হয়, তাহলে নিজেকে শুধরাতে হবে। আর যদি সঠিক না হয়, তাহলে সমালোচনা গায়ে না লাগিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সব সময় নিজেকে টেকনোলজির সঙ্গে আপডেটেড রাখতে হবে।

এসইউ/জিকেএস