দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে সারা বছরই পর্যটকে মুখর সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটা। কিন্তু পর্যটক বাড়লেও তুলনামূলক সুযোগ-সুবিধা বাড়েনি এ সৈকত ঘিরে।
Advertisement
পদ্মা সেতুর সুফলে পর্যটকরা এখন খুব কম সময়ে কুয়াকাটা পৌঁছাতে পারেন। তবে তাদের চাহিদা আরও দ্রুত ও উন্নত সেবার জন্য কুয়াকাটায় একটি বিমানবন্দর নির্মাণ হোক। অনেক আগে থেকে এ চাহিদা থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কুয়াকাটায় দ্রুত বিমানবন্দর পাওয়ার সার্বিক চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।
আরও পড়ুন- রমজান শুরু হতেই ফাঁকা কুয়াকাটা
জানা যায়, ১৯৯৮ সালে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা হওয়ার পর কুয়াকাটায় প্রতিনিয়ত পর্যটক বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে বেড়েছে হোটেল-মোটেলও। বর্তমানে রাতযাপনের জন্য এখানে প্রস্তুত প্রায় ১৭০টির বেশি আবাসিক হোটেল। যার ধারণক্ষমতা ২০ হাজারের অধিক। এগুলোর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ উন্নত চাহিদাসম্পন্ন প্রথম শ্রেণির। এই প্রথম শ্রেণির হোটেলগুলোতে অবস্থান করা বেশিরভাগ পর্যটকের সর্বপ্রথম চাহিদা বিমানবন্দর ও উন্নত সুযোগ সুবিধা।
Advertisement
ঢাকা থেকে আগত অলক সাহা নামে এক পর্যটক জাগো নিউজকে বলেন, আমরা কুয়াকাটায় আসার আগে যেমনটা আশা করেছিলাম, এসে তেমনটা পাইনি। কারণ এখানে কোনো উন্নত সুযোগ-সুবিধা চোখে পড়েনি। তবে বিমানবন্দর এখানে অতি জরুরি। এটি হলে কুয়াকাটা আরও একধাপ এগিয়ে যাবে।
আরও পড়ুন- অসাম্প্রদায়িকতার দৃষ্টান্ত ছড়াচ্ছে একই আঙিনার মসজিদ-মন্দির
সাইদুর রহমান শাহিন নামে এক ট্যুর অপারেটর বলেন, কুয়াকাটায় এখন অনেক উন্নত চাহিদার পর্যটক আসেন। কিন্তু তাদের প্রয়োজনের সামান্য অংশও মেটানো যায় না। বিমানবন্দরসহ আরও বিনোদন স্পট বাড়ানো দরকার কুয়াকাটায়।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার (টোয়াক) প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার জাগো নিউজকে বলেন, কুয়াকাটার মাস্টারপ্ল্যানের ডিজাইন হচ্ছে। তার মধ্যে বিমানবন্দরও হয়তো থাকবে। কিন্তু এটাকে অতি জরুরি বাস্তবায়ন করা দরকার। কারণ পর্যটকরা একবার কুয়াকাটা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলে আর আসতে চাইবে না। আমাদের দাবি দ্রুত বিমানবন্দর বাস্তবায়ন করা হোক।
Advertisement
আরও পড়ুন- অসহায় রোজাদারদের ভরসা ‘ইফতার খানা’
পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, কুয়াকাটায় অনেক পর্যটক আসতে চাচ্ছেন। কিন্তু সড়কপথে অনেকেই আসতে পারেন না। তাই বিমানবন্দর সময়ের দাবি। সরকার এরই মধ্যে উপজেলার দুটি জায়গা নির্ধারণ করেছে, যার মধ্যে একটি বিমানবন্দরের জন্য নেওয়া হবে। আশা করি কুয়াকাটা ও পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে শিগগির কুয়াকাটা বিমানবন্দর নিয়ে কার্যক্রম শুরু হবে।
এফএ/জিকেএস