রংপুরের বদরগঞ্জে মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাবুল স্টারকে (৪৩) ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মো. রোকনুজ্জামান এ রায় দেন।
Advertisement
সেই সঙ্গে মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আখতারুল ইসলামকে মামলার তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ এনে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি বাবুল স্টার আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার বাবলু স্টারের বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছিল দিনাজপুরের এক যুবকের সঙ্গে। তাদের বনিবনা না হওয়ায় বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর মেয়েটি বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন। ২০২০ সালের ১০ ডিসেম্বর রাতে মেয়েটি ঘরে একা ঘুমিয়েছিলেন। সুযোগ বুঝে তার বাবা বাবলু ঘরে ঢুকে মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এসময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ও স্বজনরা এগিয়ে আসলে বাবুল ঘরের দরজা বাইরে থেকে আটকে দিয়ে পালিয়ে যান। পরে স্বজনরা মেয়েটিকে উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: বাবাকে হত্যার দায়ে ১০ বছর কারাদণ্ড
Advertisement
এ ঘটনায় মেয়েটি নিজে বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। পরে পুলিশ প্রায় তিনমাস পর ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আসামিকে গ্রেফতার করে। তদন্ত শেষে আসামি বাবুলের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বৃহস্পতিবার আসামি বাবলুকে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।
মামলার সরকারপক্ষের আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন জানান, মামলাটি অত্যন্ত আলোচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে চরম গাফিলতি করেছে বলে আদালত রায়ে উল্লেখ করেছেন। মামলাটি প্রথমে এসআই শরিফুল ইসলাম তদন্ত করেন পরে মামলাটি তদন্তের দায়িত্বপান এসআই আখতারুল ইসলাম। দ্বিতীয় দফা তদন্তের দায়িত্ব পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তা আখতারুল ইসলাম মামলাটি তদন্ত শেষে ধর্ষণের ঘটনাটিকে ধামাচাপা দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। এ কারণে বিচারক তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা করেন।
জিতু কবীর/আরএইচ/জেআইএম
Advertisement