নিউইয়র্কে পৌঁছেছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। চীনের সঙ্গে উত্তেজনা এবং সম্প্রতি বেইজিংয়ের হুঁশিয়ারির মধ্যেই এই সফর করছেন তিনি। এই সফরে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে তার বৈঠক হতে পারে।
Advertisement
তবে এ ধরনের কোনো বৈঠকের বিষয়ে সতর্ক করেছে চীন। এর সমালোচনা করে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই দুই নেতার বৈঠক হলে তা গুরুতর সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।
অপরদিকে সাই ইং-ওয়েনের এই সফর নিয়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া না দেখানোর জন্য বেইজিংকে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মধ্য আমেরিকায় সফরে যাওয়া আসার পথে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা বিরতি নেবেন সাই ইং-ওয়েন। ফেরার পথে ক্যালিফোর্নিয়ায় যাত্রাবিরতির সময় কেভিন ম্যাককার্থির সঙ্গে তার বৈঠক হওয়ার কথা।
এদিকে সাই ইংয়ের এই সফরকে স্বাভাবিক বলেই দেখা হবে এমনটাই আশা প্রকাশ করেছেন হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি। তাইওয়ানের নেতা হিসেবে এটি যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য দিয়ে সাই ইং-ওয়ের সপ্তম যাত্রাবিরতি।
Advertisement
জন কিরবি বলেন, এটি একটি সাধারণ ঘটনা...তাইওয়ানের অন্যান্য রাষ্ট্রপ্রধানরাও যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা বিরতি নিয়েছেন। এটা অস্বাভাবিক কিছুই না। ১৯৯৪ সালে প্রথম তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্ট যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতি নেওয়ার পর এটা ২৯তম বিরতি।
বুধবার নিউইয়র্কে নামার পর সাই ইং-ওয়ের হোটেলের বাইরে জড়ো হন তার সমর্থকরা। অপরদিকে বিরোধীরাও সেখানে বিক্ষোভ দেখায়।
মধ্য আমেরিকার মিত্রদের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে চলতি সপ্তাহে গুয়েতেমালা এবং বেলিজে সফর করার কথা রয়েছে তার। ফেরার পথে লস অ্যাঞ্জেলেসে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে।
এদিকে সাই ইং-ওয়ের এই সফরকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করার’ অভিযোগ এনেছেন ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনের ঊর্ধ্বতন দূত। তাইওয়ান প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রকে ফের আগুন নিয়ে না খেলার আহ্বান জানানো হয়। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ও তার এই সফরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
Advertisement
টিটিএন/এমএস